এই শীতে ঘুরে আসুন কক্সবাজার

Share on Facebook

কক্সবাজার বলতেই চোখের
সামনে ভেসে ওঠে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের শাণিত রূপ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা বিশ্বের দীর্ঘতম
সমুদ্র সৈকত। দিগন্তজোড়া
বিস্তীর্ণ বালুকাবেলা, মেঘ কালো সারি সারি ঝাউবন, সৈকতের বুকে আছড়ে পড়া একেকটি ঢেউ, নৌকা ও ট্রলার নিয়ে জেলেদের কর্মচাঞ্চল্য, ভোরের আকাশে পূব পাহাড়ের পেছন থেকে কাঁসার থালার মতো বেরিয়ে আসা
সূর্য,
আবার সন্ধ্যায় সূর্যাস্তের মায়াবী রূপ এই সমস্ত সৌন্দর্যের
আয়োজন নিয়েই দেশের দক্ষিণ-পূর্ব
উপকূলে রচিত হয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। দেশের ভিতরে
কোথাও ভ্রমণের পরিকল্পনা করলে সবার প্রথমে অবশ্যই আসে কক্সবাজারের নাম এসে যায়। কেবল মাত্র দেশীয়
পর্যটকই নয়, বিদেশ
থেকেও প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক ঘুরতে আসে এই সমুদ্র
সৈকতে।

সমুদ্র স্নানরত পর্যটকরা

কক্সবাজারের আদি নাম
পালংকী। ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স নামের এক কর্মকর্তা ১৭৯৯ সালে এখানে এসে এখানে একটি বাজার স্থাপন করেন। আর তার নাম
অনুসারে কক্স সাহেবের বাজার এবং পরবর্তীতে তা  কক্সবাজার হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

চট্টগ্রাম শহর থেকে
দক্ষিণে কক্সবাজারের দূরত্ব ১৫২ কিমি এবং ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ৪১৪ কিমি। রাজধানী ঢাকা থেকে সড়ক এবং বিমানপথে
কক্সবাজার যাওয়া। সৈকতের
মেরিনড্রাইভ একটি অসাধারণ রাস্তা। এই রাস্তা ধরে যত দূরে যাবেন পুরো
জায়গাই আপনাকে মুগ্ধ করবে। একপাশে পাহাড় আর একপাশে সমুদ্র
দেখে হবেন বিমোহিত।

কক্সবাজার

জেলা শহর থেকে নিকটে হওয়ার কারণে কলাতলী এবং লাবনী সৈকত
পর্যটকদের নিকট প্রধান আকর্ষণ বলে গণ্য হয়ে থাকে। সৈকতের এই দুইটি পয়েন্টের মাঝের
দূরত্ব মাত্র পনের মিনিট। কক্সবাজার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতের আকর্ষণীয়
এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম ইনানী সৈকত। কক্সবাজার থেকে এর দূরত্ব ৩৫ কিমি। কক্সবাজার
সৈকতের পানি খানিকটা ময়লা বা ঘোলা। কিন্তু ইনানিতে পরিস্কার পানি থাকার কারণে এটি পর্যটকদের
কাছে সমুদ্রস্নানের উৎকৃষ্ট স্পট বলে বিবেচিত। ভাটার সময় এখানকার সমুদ্রের মাঝে অনেক
প্রবাল পাথর দেখা যায়।
এছাড়াও আছে হিমছড়ি। মেরিনড্রাইভ ধরে কক্সবাজার থেকে ১৮ কিমি দক্ষিণে অবস্থিত
হিমছড়ি। সবুজ পাহাড় আর অপরুপ ঝর্ণা এখানকার প্রধান আকর্ষণ।

ইনানী বীচ

কিভাবে যাবেন-
ঢাকা থেকে সড়ক, রেল ও আকাশ ৩পথেই যাওয়া যায় কক্সবাজারে। ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী বাসগুলোর মধ্যে সৌদিয়া, এস আলম মার্সিডিজ বেঞ্জ, গ্রিন লাইন, হানিফ এন্টারপ্রাইজ, শ্যামলী পরিবহন, সোহাগ পরিবহন, এস আলাম পরিবহন, মর্ডান লাইন ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। ভাড়া ৯০০-২০০০ টাকা পর্যন্ত।
ঢাকা থেকে ট্রেনে কক্সবাজার ভ্রমণ করতে চাইলে কমলাপুর কিংবা বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস, তূর্ণা-নিশীখা, মহানগর প্রভাতী/গোধূলী, চট্টগ্রাম মেইলে যাত্রা করা যায়। এরপরে চট্টগ্রামের নতুন ব্রিজ এলাকা অথবা দামপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে এস আলম, হানিফ, ইউনিক ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণ ও মানের বাসে করে ২৮০-৫৫০ টাকা ভাড়ায় কক্সবাজারে যাওয়া যায়।
এছাড়াও বাংলাদেশ বিমান, নভোএয়ার, ইউএস বাংলাসহ বেশকিছু বিমান ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজারে ফ্লাইট পরিচালনা করে।

One thought on “এই শীতে ঘুরে আসুন কক্সবাজার

Leave a Reply