ঘুরে আসুন ‘ঝর্ণা রাণী’ খৈয়াছড়া
Tweet
আঁকাবাঁকা, উঁচুনিচু জনমানবহীন
পাহাড়ি পথ। কিছুদূর পর পর দেখা মেলে ঝর্ণার। এমন নান্দনিক সৌন্দর্যের খৈয়াছড়া
ঝর্ণা হতে পারে বাংলাদেশের অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটকদের জন্য আদর্শ একটি
ভ্রমণকেন্দ্র। খৈয়াছড়ায় রয়েছে ৯টি মূলধাপ এবং কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ধাপ। এখানে একইসঙ্গে
উপভোগ করা যাবে মাউন্টেন ক্লাইম্বিংয়ের অ্যাডভেঞ্চার আর ঝর্ণার সৌন্দর্য।
চট্টগ্রামের মীরসরাই
উপজেলার বড় তাকিয়ায় সবুজে ঘেরা মায়াবী পাহাড়ি ঝর্ণা খৈয়াছড়া পুরোপুরি জনমানবহীন
এলাকায় অবস্থিত। প্রকৃতির নীরবতাকে আপনি এখানে উপভোগ করতে পারবেন একেবারে কাছ থেকে।
৯টি বিচ্ছিন্ন ধাপ এই
ঝর্ণাকে দিয়েছে এক অনন্য বৈশিষ্ট্য। যা দেশের অন্য কোনো ঝর্ণায় দেখা যায় না। তাই
স্থানীয়রা আদর করে তার নাম দিয়েছে ‘‘ঝর্ণা রাণী’’। এই
সৌন্দর্য উপভোগ করতে দিন দিনই বাড়ছে দেশি-বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা।
খৈয়াছড়া ঝর্ণার
প্রবাহকাল সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যায় না। কারণ, জনমানবহীন এলাকা এবং পাহাড়ে ঝোপঝাড়ের
আধিক্য থাকা্র ফলে দীর্ঘদিন এটি ছিল লোকচক্ষুর অন্তরালে। ২০১০ সালে সরকার এটিকে
বারৈয়াঢালা ব্লক থেকে কুণ্ডের হাট (বড়তাকিয়া) ব্লকের
জাতীয় উদ্যানের অন্তর্ভুক্ত করে।
যেভাবে যাবেন-
রাজধানীর মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি চট্টগ্রামগামী বাসে মীরসরাইয়ের বড় তাকিয়া স্টেশন। ভাড়া ৪৮০ টাকা (নন এসি), ৭০০-১২০০ টাকা (এসি)। অথবা, মহাখালী থেকে ফেনীর মহিপাল স্টেশন। ভাড়া ২৭০-৩০০ টাকা (নন এসি), ৪৫০-৭৫০ টাকা (এসি)।
সেখান থেকে লোকাল বাসে মীরসরাইয়ের বড়তাকিয়া জনপ্রতি ৫০ টাকা।
বড়তাকিয়া থেকে খৈয়াছড়া সিএনজি অটোরিকশা রিজার্ভ ভাড়া ১০০ টাকা (৫ জন যাওয়া যায়)।
খৈয়াছড়ার পাহাড়ে সূর্যাস্তের পরে ট্র্যাকিংয়ে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অবশ্যই ফিরতে হবে সন্ধ্যার আগে।
সতর্কতা-
খৈয়াছড়ার পথ কিছুটা দুর্গম হওয়ায় পথ হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে। পিচ্ছিল রাস্তায় পা ফসকে দুর্ঘটনার সম্ভাবনাও রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে কিছু জায়গায় জোঁক বাসা বাঁধে। এছাড়া, হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে মাটি ক্ষয় শুরু হয়। এসব বিপদ এড়াতে গাইডের সহায়তা নেওয়া উচিত।