আবারও দুর্ঘটায় পতিত এয়ার নিউগিনি
Tweet
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় ছোট্ট একটি দেশ ফেডারেল স্টেট অব মাইক্রোনেশিয়া। দেশটি ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৬০০ দ্বীপ নিয়ে গঠিত। শুক্রবার সকালে মাইক্রোনেশিয়ার ফোনপেই দ্বীপ থেকে পাপুয়া নিউগিনির রাজধানী পোর্ট মোরসবিতে যাচ্ছিল এয়ার নিউগিনির উড়োজাহাজটি। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজটিতে ৩৫ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু ছিলেন। সকাল আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে মাইক্রোনেশিয়ার ওয়েনো দ্বীপের বিমানবন্দরে অবতরণ করতে যেতে বিমান বন্দর থেকে ১৬০ গজ দূরে সাগরের অগভীর জলে ছিটকে পড়ে।
দুর্ঘটনার পর এয়ার নিউগিনি এক বিবৃতিতে বলেছে, এয়ার নিউগিনি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করছে, সব যাত্রীরা নিরাপদে বিমান থেকে বের হয়ে আসতে পেরেছেন এবং সবাই নিরাপদে আছেন। এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ যাত্রী ও বিমানের ক্রুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেবে।
মাইক্রোনেশিয়ার ওয়েনোর চুয়াক বিমানবন্দরের মহাব্যবস্থাপক জিমি ইমিলিও বলেন, বিমানটি চুয়াক বিমান বন্দরে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু অবতরণ করার সময় বিমান বন্দর থেকে ১৬০ গজ দূরে সাগরের অগভীর জলে ছিটকে পড়ে। বিমানবন্দরের এক রানওয়েতে নামার কথা ছিল বিমানটির। এখনই আমরা ঠিক জানি না কি ঘটেছে তবে ৩৬ জন যাত্রী ও ১১ জন ক্রুর সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে এখন শুধু উড়োজাহাজটিই ডুবে আছে।
কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা এখনো জানায়নি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ।
বিমানের একজন যাত্রী বিল জায়নেস বলেন, ‘বিমানের ভেতর পানি দেখার আগ পর্যন্ত আমি বুঝতেই পারিনি এটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এটা একটা বিচিত্র অভিজ্ঞতা।’
ওই যাত্রী বলেন, ‘আমি ভেবেছিলাম আমরা নিরাপদেই বিমানবন্দরে অবতরণ করেছি। এরপর দেখি একটি ছিদ্র দিয়ে বিমানের ভেতর পানি ঢুকছে। তখন মনে হলো যে এটা তো হওয়ার কথা নয়।’
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা যেভাবে নৌকা নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন, তার প্রশংসা করেন বিল। তিনি বলেন, ‘তারা সঙ্গে সঙ্গে নৌকা নিয়ে চলে আসে। তারা অসাধারণ এবং আমি অভিভূত।’
এখানে উল্লেখ্য যে, শুক্রবার দূর্ঘটায় পতিত এই একই বিমানের সঙ্গে বছরের শুরুর দিকে অন্য আরেকটি বিমানের সংঘর্ষ হয়েছিল।