বিশ্বের আকাশপথ শাসন করছে এশিয়া
Tweet
যাত্রী পরিবহন ও চাহিদার দিক দিয়ে আকাশপথ শাসন করছে এশিয়া। রুটস নামক যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একটি এভিয়েশন নেটওয়ার্ক ডেভেলপার ২০১৭ সালের শীর্ষ ৫০০টি রুটে যাত্রী ধারণক্ষমতা অনুযায়ী জরিপ করে। জরিপের ফলে তারা প্রকাশ করে যে, তালিকায় শীর্ষে আছে সিউলের কিমপো বিমানবন্দর থেকে মনোরম জেজু দ্বীপ ভ্রমণের রুটটি। রুটসের ব্র্যান্ড পরিচালক স্টিভেন স্মল বলেছেন, ‘এই গবেষণা অনুযায়ী আগামী ২০ বছরে আকাশপথে সবচেয়ে বেশি যাত্রী পরিবহনের চিত্র দেখা যাবে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের কিমপো বিমানবন্দর থেকে মনোরম জেজু দ্বীপের দূরত্ব ৪৫০ কিলোমিটার। দ্বীপটিকে বলা হয় ‘কোরিয়ার হাওয়াই’। ২০১৭ সালে এই অল্প দূরত্বের রুটে যাতায়াত করেছেন ১ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ৩০৬ জন যাত্রী। জনপ্রিয় এই রুটে প্রতিদিন প্রতি আট মিনিট পরপর ১৮০টি শিডিউল ফ্লাইট চলাচল করে। সিউল কিমপো থেকে জেজু রুটের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিমানবন্দর থেকে সিডনি কিংসফোর্ড স্মিথ বিমানবন্দরের রুট। এই আকাশপথে গত বছর যাতায়াত করেছেন ৯০ লাখ ৯০ হাজার ৯৪১ জন।
শীর্ষ ১০ ব্যস্ততম অভ্যন্তরীণ রুটগুলো ১. সিউল কিমপো থেকে জেজু (১ কোটি ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ৩০৬ জন), ২. মেলবোর্ন থেকে সিডনি কিংসফোর্ড স্মিথ (৯০ লাখ ৯০ হাজার ৯৪১ জন), ৩. সাপোরো থেকে টোকিও হানেদা (৮৭ লাখ ২৬ হাজার ৫০২ জন), ৪. ফুকুওকা থেকে টোকিও হানেদা (৭৮ লাখ ৬৪ হাজার যাত্রী), ৫. মুম্বাই থেকে দিল্লি (৭১ লাখ ২৯ হাজার ৯৪৩ জন), ৬. বেইজিং ক্যাপিটাল থেকে সাংহাই হোংকিয়াও (৬৮ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮৪ জন), ৭. হ্যানয় থেকে হো চি মিন সিটি (৬৭ লাখ ৬৯ হাজার ৮২৩ জন), ৮. হংকং থেকে তাইওয়ান তাইউয়েন (৬৭ লাখ ১৯ হাজার ৩০ জন), ৯. জাকার্তা থেকে জুয়ানদা সুরাবায়া (৫২ লাখ ৭১ হাজার ৩০৪ জন), ১০. টোকিও হানেদা থেকে ওকিনাওয়া (৫২ লাখ ৬৯ হাজার ৪৮১ জন)
ব্যস্ততম আন্তর্জাতিক রুটের তালিকায় শীর্ষে আছে হংকং ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দর থেকে তাইওয়ানের তাইপেই তাইউয়েন বিমানবন্দর। গত বছর ৮০২ কিলোমিটারের এই ভ্রমণ রুটে চলাচল করেছেন ৬৭ লাখ ১৯ হাজার ৩০ জন। এই তালিকায় শীর্ষ ৯ নম্বরে স্থান পেয়েছে নিউ ইয়র্কের জন এফ. কেনেডি বিমানবন্দর থেকে লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর। এই রুটে ২০১৭ সালে যাতায়াত করেছেন ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৮১৭ জন। উত্তর আমেরিকায় সবচেয়ে ব্যস্ততম রুট হলো জন এফ. কেনেডি বিমানবন্দর থেকে লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
শীর্ষ ১০ ব্যস্ততম আন্তর্জাতিক রুটগুলো ১. হংকং থেকে তাইওয়ান তাইউয়েন (৬৭ লাখ ১৯ হাজার ৩০ জন), ২. জাকার্তা থেকে সিঙ্গাপুর চেঙ্গি (৪৮ লাখ ১০ হাজার ৬০২ জন), ৩. হংকং থেকে সাংহাই পুডং (৪১ লাখ ৬২ হাজার ৩৪৭ জন), ৪. কুয়ালালামপুর থেকে সিঙ্গাপুর চেঙ্গি (৪১ লাখ ৮ হাজার ৮২৪ জন), ৫. ব্যাংকক সুবর্ণভূমি থেকে হংকং (৩৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬২৮ জন), ৬. দুবাই থেকে লন্ডন হিথ্রো (৩২ লাখ ১০ হাজার ১২১ জন), ৭. হংকং থেকে সিউল ইনচিওন (৩১ লাখ ৯৮ হাজার ১৩২ জন), ৮. হংকং থেকে সিঙ্গাপুর চেঙ্গি (৩১ লাখ ৪৭ হাজার ৩৮৪ জন), ৯. নিউ ইয়র্ক জেএফকে থেকে লন্ডন হিথ্রো (২৯ লাখ ৭২ হাজার ৮১৭ জন)
১০. হংকং থেকে বেইজিং ক্যাপিটাল (২৯ লাখ ৬২ হাজার ৭০৭ জন)
যাত্রী সংখ্যার দিক দিয়ে শীর্ষ ১০০ ব্যস্ততম রুটের মধ্যে ৭০ শতাংশই এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের। এর মধ্যে বিশ্বের ব্যস্ততম গন্তব্যগুলোর মধ্যে অন্যতম জাপান। দেশটির অভ্যন্তরীণ তিনটি গন্তব্যই শীর্ষ ১০০ এর মধ্যে তৃতীয়, চতুর্থ ও দশম স্থানে। এগুলো হলো— তিন নম্বরে থাকা সাপোরোর নিউ চাইতোস বিমানবন্দর থেকে টোকিও হানেদা বিমানবন্দর, চার নম্বরে স্থান পাওয়া ফুকুওকা বিমানবন্দর থেকে টোকিও হানেদা ও তালিকার ১০ নম্বরে জায়গা করে নেওয়া টোকিও হানেদা থেকে ওকিনাওয়ার নাহা বিমানবন্দর।
রুটসের গবেষণায় আরও জানা গেছে, কোন রুটে যাত্রী সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এ তালিকায় শীর্ষে আছে থাইল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ রুট ব্যাংকক সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর থেকে চিয়াঙ মাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ২. সিউল ইনচিওন থেকে কানসাই ইন্টারন্যাশনাল (৩০ দশমিক ৩ শতাংশ), ৩. জাকার্তা থেকে কুয়ালালামপুর (২৯ দশমিক ৪ শতাংশ), ৪. দিল্লি থেকে পুনে (২০ দশমিক ৬ শতাংশ), ৫. চেংডু থেকে শেনজেন বাওয়ান (১৬ দশমিক ৮ শতাংশ), ৬. হংকং থেকে সাংহাই পুডং (১৫ দশমিক ৫ শতাংশ), ৭. ব্যাংকক সুবর্ণভূমি থেকে ফুকেট (১৪ দশমিক ৯ শতাংশ), ৮. জেদ্দা থেকে রিয়াদ কিং খালিদ (১৩ দশমিক ৯ শতাংশ), ৯. জাকার্তা থেকে কুয়ালানামু (১৩ দশমিক ৯ শতাংশ), ১০. কলকাতা থেকে দিল্লি (১৩ দশমিক ৪ শতাংশ)