যাত্রীদের ব্যাগেজ হয়রানির অভিযোগে সালাম এয়ারকে জরিমানা
Tweet
যাত্রীদের ব্যাগেজ হয়রানির অভিযোগের ভিত্তিতে সালাম এয়ারকে জরিমানা করেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গত বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) ৬০ জনের বেশি যাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ওমানের এই এয়ারলাইন্সকে জরিমানা করা হয় মোট ১২ লাখ ২০ হাজার টাকা।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বাংলাদেশে গত ২৯ আগস্ট ফ্লাইট চালুর পর থেকে সালাম এয়ারে যাত্রীদের ব্যাগেজ লেফট বিহাইন্ড (ব্যাগ বুঝিয়ে না দেওয়া) হচ্ছে নিয়মিত। প্রথম ফ্লাইটেই প্রায় ৪০ জন প্যাসেঞ্জারের ব্যাগেজ লেফ্ট বিহাইন্ড হয়। একইভাবে ৩০ আগস্ট দ্বিতীয় ফ্লাইটের প্রায় ৩৫ জন যাত্রী ও ১ সেপ্টেম্বর তৃতীয় ফ্লাইটে ৩০ জন যাত্রীর ব্যাগ লেফট বিহাইন্ড হয়। এসব ফ্লাইটে অধিকাংশই ছিলেন হজযাত্রী। সর্বশেষ গত বুধবার বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) ওভি-২৮৩ ফ্লাইটেও ৬১ জন যাত্রীর ১০৮টি ব্যাগেজ লেফ্ট বিহাইন্ড হয়।
একাধিক ফ্লাইটে যাত্রীদের ব্যাগেজ লেফট বিহাইন্ড হওয়ায় সালাম এয়ারকে জরিমানা করেন বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ ইউসুফ। একইসঙ্গে দ্রুত সময়ে যাত্রীদের ব্যাগ ফেরত দেয়ার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দেন তিনি। মুহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ‘যাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সালাম এয়ারকে জরিমানা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি সব লেফ্ট বিহাইন্ড ব্যাগ দ্রুত এনে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী ইতোমধ্যে আগামীকাল (আজ) ভোর ৬টায় স্পেশাল ফ্লাইটে এপর্যন্ত লেফ্ট বিহাইন্ড হওয়া মোট ৩১৫ পিস ব্যাগ ও জমজমের পানি আনার ব্যবস্থা করেছে সালামএয়ার। আমাদের প্রত্যাশা, ভবিষ্যতে অন্য এয়ারলাইন্সগুলোর মতো যাত্রীদের প্রতিশ্রুত ও প্রত্যাশিত সেবা দেবে সালামএয়ার।’
জানা গেছে, বর্তমানে ঢাকা-মাস্কট রুটে বিমান বাংলাদেশ, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স’র পাশাপাশি ফ্লাইট পরিচালনা করছে সালামএয়ার। এই রুটে ন্যারোবোডি বিমান ব্যবহার করছে সালামএয়ার। এ কারণে যাত্রীদের ব্যাগেজ অ্যালাউন্স ৪০ কেজি থাকলেও সক্ষমতা না থাকায় সব ব্যাগেজ আনতে পারছে না বিমান কোম্পানিটি।