সমৃদ্ধির পথে আরও একধাপ ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
Tweet
২০১৪ সালের ১৭ জুলাই দুটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ বিমান দিয়ে শুরু। ঢাকা থেকে যশোরে উদ্বোধনী ফ্লাইট পরিচালনার মাধ্যমে বাংলার আকাশে যুক্ত হলো আরেকটি নতুন এয়ারলাইন্স ইউএস-বাংলা এয়ার লাইন্স। সেই থেকে শুরু আর শুরু থেকে শুধুই সামনে পথচলা। পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এখন পর্যন্ত।
ছোটখাটো কিছু দূর্ঘটনার মুখোমুখি যে একেবারেই হতে হয়নি তা না। এই অল্পতম সময়ের মধ্যেই বরং মুখোমুখি হতে হয়েছে নেপাল দূর্ঘটনার মতো ভয়াবহতম দূর্ঘটনার। কিন্তু ব্যবসায়িক সততা, কঠোর পরিশ্রম আর যাত্রীসেবা মানের সাথে আপোষহীনতার মাধ্যমে বিমান কোম্পানিটি আসন করে নিয়েছে যাত্রীদের আস্থার মণিকোঠায়। ফলস্বরূপ ইউএস-বাংলার অবস্থান আজ দেশীয় বিমান কোম্পানিগুলোর মধ্যে অনন্য এক উচ্চতায়।
উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় এবছরেরই নভেম্বর মাসে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হচ্ছে দুটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ বিমান। এগুলোর প্রতিটিতে থাকছে ৮টি বিজনেস ক্লাস ও ১৫৯টি ইকোনমি ক্লাসের আসনসহ মোট ১৬৭টি আসন।
যাত্রা শুরুর পর থেকে মাত্র চার বছরে প্রায় ৪৫ হাজারের অধিক ফ্লাইট সফলভাবে পরিচালনা করেছে ইউএস-বাংলা। বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুটে সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, গুয়াংজু, মাস্কট, দোহা ও কলকাতা এবং আভ্যন্তরীণ রুটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, যশোর, সৈয়দপুর, রাজশাহী ও বরিশালে নিয়মিতভাবে ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
বহরে নতুন বিমান যুক্ত হলে নতুন কিছু আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি করবে বলে জানিয়েছে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ। ভবিষ্যতে জেদ্দা, দাম্মাম, রিয়াদ, হংকং, দিল্লি, চেন্নাই, কলম্বো, মালেসহ বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
বর্তমানে ইউএস বাংলার বহরে ১৬৪ আসনের ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ ও ৭৬ আসনের তিনটি ড্যাশ৮- কিউ৪০০ সহ এয়ারক্রাফট রয়েছে মোট সাতটি। নভেম্বরে আরও দুটি যোগ হলে তাদের উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়াবে ৯টিতে। এই দুটি বোয়িং বিমানের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে আরও দুটি ড্যাশ৮-কিউ৪০০ এয়ারক্রাফট নিজেদের বহরে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।