পর্যটকদের আকর্ষণ বৃদ্ধিতে বিশ্বের এক নাম্বারে মিশর
Tweet
পর্যটকের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে এমন দশটি দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা (ইউএনডব্লিউটিও)। ২০১৮ সালের ট্যুরিজম হাইলাইটস রিপোর্টে উল্লেখ করা এই দশটি দেশের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মিশর।
প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি হিসাবে খ্যাত মিশর উত্তর আফ্রিকার একটি প্রাচীন রাষ্ট্র। প্রধান নদী নীলনদ মরুময় এই দেশটিকে দুই অসমানভাগে ভাগ করেছে। মিশরের বড় শহর ও রাজধানীর নাম কায়রো। নীলনদ, পিরামিড ও রাজাবাদশাদের মমির জন্য দেশটির পরিচিতি দুনিয়াজোড়া। আফ্রিকা মহাদেশের প্রান্তদেশে অবস্থিত এই দেশটি এশিয়ার সাথে সংযুক্ত। এই কারণে একে আফ্রিকার প্রবেশদ্বার হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
বর্তমান বিশ্বের বেশকিছু পর্যটনগন্তব্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিরাপত্তা সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করে এখন আন্তর্জাতিক পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে। মিশর সেই সফলভাবে উত্তরণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রথমে। তালিকায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে যথাক্রমে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ টোগো ও ইউরোপের ক্ষুদ্র রাস্ট্র সান ম্যারিনো।
চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ অধিকার করে আছে ভিয়েতনাম, জর্জিয়া ও ফিলিস্তিন। সপ্তম স্থানে আছে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র নিউয়ে, হিমালয় কন্যা নেপাল আছে আটে ও নবম স্থানে আছে ইসরায়েল।
আমেরিকার প্রশান্ত মহাসাগরীয় উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ যেখানে ২০১৭ সালে ঘুরেছে ৬ লাখ ৬০ হাজার পর্যটক। অথচ পুরো দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ৫৫ হাজার! এই ৫৫ হাজার জনসংখ্যা বিশিষ্ট দেশটি পর্যটনে সফলভাবে এগিয়ে এসে দশম স্থান অধিকার করে নিয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, রাজনৈতিক অস্থিরতা কাটিয়ে ওঠা মিশর ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে ৫৫ দশমিক ১ শতাংশ বিদেশী পর্যটক টানতে সফল হয়েছে। একইভাবে টোগো ৪৬ দশমিক ৭ শতাংশ, সান ম্যারিনো ৩১ দশমিক ১ শতাংশ, ভিয়েতনাম ২৯ দশমিক ১ শতাংশ আর জর্জিয়া ২৭ দশমিক ৯ শতাংশ।
যুদ্ধ বিধ্বস্ত ফিলিস্তিন অঞ্চলে ১৬ সালের তুলনায় ১৭ সালে বিদেশি পর্যটক বেড়েছে ২৫ দশমিক ৭ শতাংশ আর সপ্তম সাথে থাকা নিউয়ে ২৫ দশমিক ৪ শতাংশ। একইভাবে নেপাল, ইসরায়েল ও উত্তর মারিয়ানা দ্বীপপুঞ্জ যথাক্রমে ২৪ দশমিক ৯ শতাংশ, ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ, ও ২৪ দশমিক ৩ শতাংশ।