সাগরের তলদেশে বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক রিসোর্ট মুরাকা
Tweet
সাগরের তলদেশে সামুদ্রিক প্রাণীদের সাথে রাত্রি যাপন আর স্বপ্ন নয়। কনরাড মালদ্বীপ রঙ্গালি দ্বীপে চালু হলো সাগরের তলদেশে বিশ্বের প্রথম বাণিজ্যিক রিসোর্ট মুরাকা। ভারত মহাসাগরের তলদেশের সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য দোতলা বিশিষ্ট এই রিসোর্টটি নির্মান করতে ব্যয় হয়েছে দেড় কোটি মার্কিন ডলার।
তবে সামুদ্রিক প্রাণীদের সাথে রাত্রি যাপন কল্পনা করতে ব্যাপারটা যত ভয়ংকর মনে হচ্ছে বাস্তবতা সেরকম নয়। বরং শতভাগ উপভোগ্য বিচিত্র এই রাত্রি যাপন। সম্পূর্ণ স্টিল, কংক্রিট আর কাঁচ দিয়ে নির্মিত এই রিসোর্টটি এতোটাই মজবুত যে খারাপ আবহাওয়ার সময়েও তা অক্ষত ও অনড় থাকবে।
মুরাকা রিসোর্টের সুযোগ-সুবিধাগুলো হচ্ছে, উপরতলা ও নীচতলা মিলিয়ে এখানে মোট নয় জন ঘুমানোর ব্যবস্থা আছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ১৬ ফুট নিচের তলায় ঘুমানোর জন্য একটি বেডরুম ও বাথরুমের ব্যবস্থা আছে। নিচতলার অন্যান্য সুযোগসুবিধাগুলোর মধ্যে কাঁচের দেয়ালে চোখ রেখে চারপাশে সাঁতরে বেড়ানো হাজার রকমের সামুদ্রিক প্রাণী দেখতে পাওয়া অন্যতম।
তবে নিচতলা থেকে উপরের তলায় সুযোগ সুবিধা তুলনামূলক বেশি। উপরের তলায় ২টি স্যুট রুম ছাড়াও নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য আলাদা ঘর আছে। এখানে সাগরমুখো একটি বাথটাব আছে। গোশল করতে করতে সাগরের তলদেশের সৌন্দর্য উপভোগ করার পৃথিবীর একমাত্র ব্যবস্থা এখানেই। প্রত্যেক স্যুট রুমের জন্য আলাদা শেফ আলাদা বাটলার এমনকি চাহিদা সাপেক্ষে আলাদা আলাদা ফিটনেস ট্রেইনার ও স্পা ট্রিটমেন্ট দেয়ার ব্যবস্থাও আছে। দুটো জেট স্কি আছে।
এতো এতো সুযোগ সুবিধার বাইরেও রয়েছে একটি ইনফিনিটি সুইমিং পুল। সাগরের অপার সৌন্দর্য আর সুর্যাস্তের দৃশ্য উপভোগ করার জন্য অনন্য। পুরো রিসোর্টের ভাড়া পড়বে প্রতি রাতের জন্য ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বা ৪২ লক্ষ টাকা।
রিসোর্টটি ডিজাইন করেছেন মালদ্বীপের ক্রাউন কোম্পানির স্থপতিরা। নির্মাণকাজের দায়িত্বে ছিল নিউজিল্যান্ডের অ্যাকুয়ারিয়াম প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠান এম জে মারফি লিমিটেড।
রিসোর্টের স্থপতি আহমেদ সালেম বলেন, মুরাকা রিসোর্টের সম্পূর্ণ এই নতুন অভিজ্ঞতা পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যাবে না।
সমুদ্রের তলদেশে গিয়ে বিচিত্র অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য মুরাকা রিসোর্টির চার ধরণের সার্ভিস অফার আছে। চারটি অফার চারটি ভিন্ন ভিন্ন বিষয়কে ফোকাস করে যেমন “দ্যা ওয়ান্ডারার্স” সংস্কৃতিকে ফোকাস করে, “দ্যা ফ্লেভার” খাবারকে ফোকাস করে, “দ্যা সৌল” সুস্থতাকে ফোকাস করে এবং “দ্যা থ্রিল” সাহসিকতাকে ফোকাস করে।