সুন্দরবনে রাসমেলায় যাওয়ার জন্য ৮টি অনুমোদিত পথ
Tweet
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে ২১ থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী সুন্দরবনের দুবলার চরে ঐতিহ্যবাহী ‘রাস পূর্ণিমা পুণ্যস্নান-২০১৮’ অনুষ্ঠিত হবে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের নিরাপদে যাতায়াতের জন্য আটটি পথ নির্ধারণ করে দিয়েছে। এসব রুটে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্ট গার্ড বাহিনীর টহল দল।
অনুমোদিত পথগুলো হলো-
বুড়িগোয়ালিনী-কোবাদক থেকে বাটুলানদী-বলনদী-পাটকোস্টা হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলার চর।
কদমতলা হতে ইছামতি নদী, দোবেকী হয়ে আড়পাঙ্গাসিয়া-কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর।
কৈখালী স্টেশন হয়ে মাদার গাং, খোপড়াখালী ভাড়ানী, দোবেকী হয়ে আড়পাঙ্গাসিয়া-কাগাদোবেকী হয়ে দুবলার চর।
কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়ুয়া শিবসা-শিবসা নদী-মরজাত হয়ে চুবলার চর।
নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর।
ঢাংমারী অথবা চাঁদপাই স্টেশন হয়ে পশুর নদী দিয়ে দুবলার চর।
বগী-বলেশ্বর-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর।
এবং শরঙ্খোলাস্টেশন-সুপতি স্টেশন-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর।
সুন্দরবনের পশ্চিম বন বভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সুত্রে জানা গেছে যে, দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের ঐ তিন দিনের জন্য প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে এবং প্রবেশের জন্য নির্দিষ্ট ফি জমা দিতে হবে। নর্ধারিত রুটের একটিমাত্র পথ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন যাত্রীরা এবং তারা দিনের বেলায় চলাচল করতে পারবেন। যাতায়াতের জন্য নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার বন বিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও থামানো যাবে না।
প্রত্যেকটি ট্রলারের গায়ে রঙ দিয়ে বিএলসি অথবা সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে। রাসমেলায় আসা পূণ্যার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয় অথবা ইউপি চেয়ারম্যান থেকে প্রাপ্ত সনদপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
পরিবেশ দূষন করে এরকম কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে হবে, যেমন- উচ্চস্বরে মাইক বাজানো, পটকা ও বাজি ফোটানো, বিস্ফোরক দ্রব্য বহন ইত্যাদি।
তাছাড়াও দেশীয় যেকোনো অস্ত্র এবং আগ্নেয়াস্ত্র বহন থেকে যাত্রীদেরকে সম্পূর্ণরুপে বিরত থাকতে হবে। সুন্দরবনের ভিতরে অবস্থানরত সময়ে টোকেন ও টিকেট নিজের কাছে রাখতে হবে।