জ্বালানি তেলের সংকটে ফ্লাইট বিপর্যয়
Tweet
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জ্বালানি তেল সংকটের কারণে বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয় ঘটে। গত ৯ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে বাংলাদেশ বিমানসহ বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট যথা সময়ে উড্ডয়ন করতে পারে নাই। ফলে হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগের শিকার হয়। জ্বালানি তেলের সংকটের কারণে গত শনিবার মধ্যরাত থেকে রবিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে ৫৮৪, মালায়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের এমএইচ১৯৭, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ৩৭, রিজেন্ট আর এক্স ৭৮২, থাই লায়ন এয়ারের এসএল ২২৫ নম্বর ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যেতে পারেনি।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিভিল এভিয়েশনের এক কর্মকর্তা জানান, বিমানের জ্বালানি তেল সংকটের কারণে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের বিমানগুলো সিডিউল অনুযায়ী আকাশে উড়তে পারেনি। তিনি বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে কুয়েত এয়ার, বাংলাদেশ বিমান, কাতার এয়ারওয়েজসহ অন্যান্য এয়ারের বিমানগুলো ২/৩ ঘণ্টা পর শাহজালাল বিমান বন্দর থেকে উড়ে গেলেও ক্যাথে প্যাসিফিক এবং মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের এমেইচ-১১৯৬ ফ্লাইটটি শনিবার মধ্যরাত থেকে অপেক্ষা করে রোববার বিকেল ৩টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড়ে যায়।
সূত্রমতে, রোববার বিকেল ৩টা থেকে জ্বালানি তেল সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে। এরপর থেকে সব এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট যথা সময়েই বিমানবন্দর ছেড়ে যাচ্ছে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জ্বালানি তেল সরবরাহ করে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের অধীনস্থ পদ্মা অয়েল কোম্পানি। সূত্র থেকে জানা যায়, যেসব এয়ারলাইন্সের সাথে পদ্মা ওয়েলের লেনদেন নিয়ে সমস্যা আছে সেসব এয়ারলাইন্সকে তেল সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছিলো।
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর আসলাম উদ্দীন সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, জ্বালানি তেলের কোনো সংকট নাই। এই সংকট সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স ও পদ্মা অয়েল কোম্পানির নিজস্ব ব্যাপার।