ব্রিটেনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরে অচলাবস্থার অবসান ঘটছে
Tweet
ড্রোন কাণ্ডে ব্রিটেনের ব্যস্ততম বিমানবন্দর গ্যাটউইকের প্রায় ৩৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর পুনরায় সচল হয়েছে। বিমানবন্দরে লাখো যাত্রী আটকে পড়ায় শুক্রবার কর্তৃপক্ষ রানওয়ে খুলে দিয়ে ৭৬৫টি ফ্লাইট উত্তরণ ও অবতরণের সূচি ঠিক করেছেন।
শুক্রবারের ফ্লাইটের টিকিট কাটা যাত্রীদের বিমানবন্দরে রওয়ানা হওয়ার আগে নিজ নিজ এয়ারলাইনে খোঁজ-খবর নেয়ার অনুরোধও করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিমানবন্দরের প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা ক্রিস উডরুফ জানান, শুক্রবার যে কয়টি ফাইট ছাড়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে তাতে প্রায় এক লাখ ২৬ হাজার যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া যাবে। তিনি বলেন, ‘আমার লক্ষ্য যাত্রীদের নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া, তারা যেন বড়দিনের আনন্দ উদযাপন করতে পারেন।
গ্যাটউইক বিমানবন্দরে অচলাবস্থার অবসানের পর প্রথমে ‘ইজিজেটের দুইটি ফ্লাইট আসে ও ছেড়ে যায়। এরপর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের দুইটি ফ্লাইট উড্ডয়ন করেছে এবং চায়না ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট অবতরণ করে। গত বুধবার রাতে গ্যাটউইক বিমানবন্দরের রানওয়েতে একটি চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) উড়তে দেখা যাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করলে সেখানে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। প্রথমে ৪৫ মিনিট বন্ধ রাখার পর রানওয়ে খুলে দিলে আবার ড্রোনটি সেখানে উড়তে দেখা যায়। এর ফলে রানওয়ে নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত উড়োজাহাজ উঠা-নামা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়।
বড়দিনের মওসুমে এক দিনের অচলাবস্থার কারনে লন্ডনের দ্বিতীয় বৃহৎত্তম বিমানবন্দরটিতে এক লাখ ২০ হাজারেরও বেশি যাত্রী আটকা পড়ে যান। বরফশীতল তাপমাত্রার কারনে যাত্রীদের দুর্ভোগ বেড়ে যায় । বিপ্তিভাবে গুলি চালাতে হবে আশঙ্কায় পুলিশ শুরুতে ড্রোনটি ভূপাতিত করতে চাইছিল না বলে জানিয়েছিলেন উডরুফ। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘কে ড্রোন ওড়াচ্ছে তাকে খুঁজছে পুলিশ। ড্রোন নিষ্ক্রিয় করার রাস্তা এটাই।’
সেখানে পুলিশকে সাহায্য করার জন্য সেনাবাহিনীও মোতায়েন করা হয়। কিন্তু ৩৬ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও পুলিশ এখনো ড্রোনের পাইলটকে আটক করতে বা সেটি কোথা থেকে পরিচালিত হচ্ছে তা নিশ্চিত হতে পারেনি। এটা পরিবেশ সুরা আন্দোলন কর্মীদের কাণ্ড হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে রানওয়ের কাছে ড্রোনটি উড়তে দেখার অন্তত ৫০টি রিপোর্ট পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করায় শুক্রবার ড্রোনটি গুলি করে ভূপাতিত করার মতো বিকল্প নিয়েও ভাবতে থাকে পুলিশ। যেটিকে তারা ‘কৌশলগত অভিযান’ নাম দিয়েছে। এ ঘটনার সাথে সন্ত্রাসবাদের সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ক্রিস গ্রেলিং।