বিপজ্জনক যাত্রীকে নিয়ন্ত্রণে দড়ির পরিবর্তে সংযুক্ত হচ্ছে হাতকড়া
Tweet
সেফটি ম্যানুয়ালে পরিবর্তন আনছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এতোদিন ফ্লাইটে বিপজ্জনক যাত্রীদেরকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে দড়ি ব্যবহার করতো সংস্থাটি। দড়ির পরিবর্তে শীঘ্রই চালু হচ্ছে হাতকড়া ব্যবহার।
যাত্রী ও কেবিনসহ সার্বিক নিরাপত্তার অংশ হিসেবে ফ্লাইটে প্রতিটি বিমান সংস্থার নিজস্ব সেফটি ম্যানুয়াল থাকে। প্রয়োজন মোতাবেক সেই ম্যানুয়াল অনুযায়ী পদক্ষেপ নেন পাইলট ও কেবিন ক্রু সদস্যরা। কোনো যাত্রী অন্য যাত্রী বা ফ্লাইটের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠলে তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখাই ছিলো বিমান বাংলাদেশের সেফটি ম্যানুয়ালের অন্তর্ভুক্ত। এই ম্যানুয়ালে দড়ির পরিবর্তে সংযুক্ত হচ্ছে হাতকড়া। তবে সেই হাতকড়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে থাকা ধাতব হাতকড়ার মতো নয়। এটি হবে অনেকটা ক্যাবল টাইয়ের মতো দেখতে।
এ প্রসঙ্গে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, যাত্রীদের নিরাপত্তাই আমাদের প্রধান দায়িত্ব। কোনো যাত্রী যদি ফ্লাইট বা অন্য যাত্রীদের জন্য হুমকি হয়ে উঠে তাহলে প্রথমে তাকে বুঝিয়ে শান্ত রাখার চেষ্টা করেন কেবিন ক্রুরা। এরপরেও শান্ত করা না গেলে পাইলটের নির্দেশে সেফটি ম্যানুয়াল ব্যবহার অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রয়োজনে যাত্রীকে বেঁধে রাখার বিধান রয়েছে। যাত্রীর সহিংস আচরণ ঠেকাতে বিশ্বের অনেক এয়ারলাইন্স এখন হাতকড়া ব্যবহার করে। বিমানও সব ফ্লাইটে বিশেষ ধরণের হাতকড়া রাখবে। শীঘ্রই এটি কার্যকর হবে।
প্রসঙ্গত গত ৪জানুয়ারি লণ্ডন থেকে সিলেট আসার পথে একযাত্রী মাতাল হয়ে বিপজ্জনক আচরণ শুরু করেন। কেবিন ক্রুদের সাথে তার আচরণ ছিল অশোভন। কেবিন ক্রু ও অন্যযাত্রীরা তাকে থামাতে গেলে মদ্যপ যাত্রী আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে ওই যাত্রী একজন ক্রু’র আঙ্গুলে কামড় দেন, প্লেটও ছুঁড়ে মারেন। পরে পাইলটের নির্দেশে তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলেন ফ্লাইট অ্যাটেন্ডেন্টরা।