এবছর হজের খরচ বেড়েছে
Tweet
অন্যান্য বছরের তুলনায় হজের খরচ এবছর কিছুটা বেড়েছে। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, সৌদি আরব এবার বিশ্বের সকল হজযাত্রীদের জন্যই মাথাপিছু প্রায় ২৫ হাজার টাকার মতো খরচ বাড়িয়েছে। তাই বাংলাদেশ সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টার থাকা স্বত্বেও এবার হজের খরচ বেড়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, এবার হজ প্যাকেজ ১ এ জনপ্রতি খরচ প্রস্তাব করা হয়েছিলো ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১০ টাকা। যার মধ্যে বিমা ভাড়ার প্রস্তাবনাই ছিলো ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়া ১ লাখ ৬ হাজার ৫০০ টাকা, সৌদি আরবে প্রদেয় বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ ও পরিবহন ভাড়া ৪০ হাজার ৮৮২ টাকা ৫০ পয়সা, জমজমের পানি ২৬০ টাকা, অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ ও ভ্যাট ৩৫ হাজার ৪৩৭ টাকা ৫০ পয়সা, স্থানীয় সার্ভিস চার্জ ৮০০ টাকা, হজযাত্রীদের কল্যাণ তহবিল ২০০ টাকা, প্রশিক্ষণ ফি ৩০০ টাকা, চিকিৎসা কেন্দ্র ফি ১০০ টাকা, খাওয়া খরচ ৩০ হাজার, অন্যান্য খরচ ১ হাজার ২১৫ টাকা ও প্রাক-নিবন্ধন ফি ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আমরা চেষ্টা করেছিলাম এই খরচ কমাতে। খরচ কমিয়ে অবশেষে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫১৬ টাকা। তাই বলা যায় হজের খরচ তুলনামূলকভাবে কিছুটা হলেও কমেছে। সৌদি সরকার কর্তৃক খরচ বৃদ্ধির এই হার যেহেতু সারা বিশ্বের জন্যই সমান তাই শুধুমাত্র বাংলাদেশের পক্ষে খরচ কমানোর কোনো সুযোগ নাই।
এর আগে হজনীতি ও হজ প্যাকেজ চূড়ান্ত করে মন্ত্রিসভা। তখন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ব্রিফিংয়ে বলেন, সৌদি সরকারের নির্ধারিত ট্যাক্স, বাড়ি ভাড়া, সার্ভিস চার্জ, কোরবানির পশুর দামসহ অন্যান্য খরচ বাড়ায় এবার হজ প্যাকেজর মূল্য বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে হজযাত্রীদের অন্যান্য খরচও। তাই বিমান ভাড়া ১০ হাজার টাকার বেশি কমিয়েও হজের খরচ আগের স্থানে রাখা যায়নি।
এবার হজ পালনে প্যাকেজ-১ এ জনপ্রতি খরচ পড়বে ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এ জনপ্রতি ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। আগের বছরের তুলনায় এবছর প্যাকেজ-১ এ খরচ বেড়েছে ২০ হাজার ৫৭১ টাকা ও প্যাকেজ-২ এ বেড়েছে ১২ হাজার ৬৪১ টাকা।
গত হজে প্যাকেজ-১ এর মাধ্যমে হজ পালনে খরচ হয় ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯২৯ টাকা। অপরদিকে প্যাকেজ-২ এর মাধ্যমে খরচ হয় ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ১০ আগস্ট (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ২০ হাজার জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।