১২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয়বার আসছে বিদেশী পর্যটকবাহী জাহাজ সিলভার ডিসকভারার
Tweet
বিদেশী পর্যটকবাহী জাহাজ সিলভার ডিসকভারার এবছরেই দ্বিতীয়বারের মতো আসছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের ট্যুর অপারেটর ‘জার্নি প্লাস’ এবং ডেনমার্কের ট্যুর অপারেটর ‘দ্য পুগমার্ক’ এর যৌথ এবারের আয়োজনে আসছে ৭২ জন বিদেশী পর্যটক। জাহাজটি মায়ানমার থেকে রওনা হয়ে ভারতের পোর্ট ব্লেয়ার ও আন্দামান দ্বীপপুঞ্জ হয়ে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে এসে পৌঁছবে ১২ ফেব্রুয়ারি।
এ বিষয়ে ‘সিলভার ডিসকভারার’ জাহাজটির দেশীয় ট্যুরিজম পার্টনার জার্নি প্লাসের সিইও তৌফিক রহমান বলেন, জাহাজটি দ্বিতিয়বারের মতো গত ৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার থেকে ৭২ পর্যটক নিয়ে রওনা হয়ে ভারতের পোর্ট ব্লেয়ার ও আন্দামান দ্বীপ যাওয়ার পর সেখান থেকে এটি ফের মিয়ানমারের সিটওয়ে বন্দর হয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি সেন্ট মার্টিন দ্বীপে আসবে। এখান থেকে সুন্দরবন এবং মোংলা বন্দর হয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের চেন্নাই বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেবে। আর তৃতীয়বার জাহাজটি ১৯ ফেব্রুয়ারি চেন্নাই থেকে রওনা দিয়ে ২২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসবে। এটি সুন্দরবন হয়ে মহেশখালী, সেন্ট মার্টিন ঘুরে ২৭ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে চলে যাবে। সে জাহাজটিতেও ৭৮ বিদেশি পর্যটক থাকবেন।
বাংলাদেশ পর্যটন কপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, যৌথভাবে আয়োজিত এই সফরে পর্যটকরা চার দিন বাংলাদেশে অবস্থান করবেন। আগে কলকাতা, থাইল্যান্ড হয়ে বাংলাদেশে এলেও এবার আসছেন চেন্নাই অথবা মিয়ানমার রুটে। এসময় তারা সুন্দরবনের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি কক্সবাজারের মহেশখালী ও একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন ঘুরে দেখবেন। তবে এই প্রথম জাহাজের পর্যটকরা দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ করছেন।
এর আগে ২৭ জানুয়ারি জাহাজটি বছরের প্রথমবার ভারতের চেন্নাই থেকে রওনা হয়ে বাংলাদেশে এসেছিলো ৬১ বিদেশি পর্যটক নিয়ে। ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের পর্যটকরা সেবার ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন স্থান ভ্রমণ করেন।
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি তৃতীয়বার জাহাজটি ৭৮ বিদেশি পর্যটক বাংলাদেশে আসবে। সুন্দরবন হয়ে মহেশখালী, সেন্ট মার্টিন ঘুরে ২৭ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে চলে যাবে। সব মিলিয়ে এই জাহাজগুলোতে চড়ে মোট ২১১ জন বিদেশি পর্যটক বাংলাদেশ ভ্রমণের সুযোগ আসছেন।
জানা গেছে, জাহাজের প্রতিটি ট্যুরই ১৪ দিন মেয়াদি। থাকা-খাওয়াসহ ভ্রমণের সর্বনিম্ন খরচ জনপ্রতি ১০ হাজার মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি টাকায় সাড়ে আট লাখ টাকা)। তবে জাহাজটির স্যুটে ভ্রমণে খরচ ১৪ থেকে ১৬ হাজার ডলার। জাহাজটিতে আন্তর্জাতিকমানের রেস্টুরেন্ট, লাউঞ্জ, স্যুট ও বিশাল ডেকে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার সুযোগ রয়েছে।