শাহ মেরিন রিসোর্টে পহেলা বৈশাখ
Tweet
গাবতলীর আমিনবাজার থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার দূরে ধলেশ্বরী নদীর কোলে গড়ে উঠেছে শাহ মেরিন রিসোর্ট। আগামী পহেলা বৈশাখকে কেন্দ্র করে রিসোর্টটি সাজিয়েছে নানা আয়োজন। দিনের নানা আয়োজনের মধ্যে সকাল শুরু হবে পান্তা-ইলিশ দিয়ে আর সন্ধ্যায় বার-ই-কিউ দিয়ে শেষ হবে।
আসছে বাংলা নতুন বর্ষ ১৪২৬। নতুন বছরকে বরণ করে নিতে বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে শুরু হয়েছে নানা পরিকল্পনা। এই নববর্ষের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিতে অতিথিদের জন্য বিশেষ আয়োজনের ব্যবস্থা করেছে ঢাকার অদূরেই অবস্থিত শাহ মেরিন রিসোর্ট।
আয়োজন সম্পর্কে শাহ মেরিন রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ মোমিন বলেন, রাজধানীবাসীর জন্য বিনোদনের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় খানিক অবসরেই শহরবাসীরা ঢাকার আশেপাশে ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন। কিন্তু ভেন্যু শহর থেকে বেশি দূরে হলে আবার মহাসড়কে যানজটের একটা চিন্তা থাকে। সেই দিক থেকে শাহ মেরিন রিসোর্ট রাজধানীর ঢাকার খুব কাছে অবস্থিত। মনোরম পরিবেশে প্রকৃতির মাঝে সাজিয়ে তোলা হয়েছে আমাদের এই রিসোর্ট। তাই রাজধানীবাসীদেরকে বিবেচনায় রেখে পহেলা বৈশাখে আমরা এই বিশেষ আয়োজন ও প্যাকেজের ব্যবস্থা করেছি।
আগামী ১২ ও ১৩ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার। এই দুদিন সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি রবিবার পহেলা বৈশাখ সরকারি ছুটি। টানা ৩ দিন ছুটির কারণে এবারের পহেলা বৈশাখে অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি অতিথি ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করছেন রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ।
শাহ মোমিন বলেন, আমার মনে হয়, ঢাকার এতো কাছে এবং সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পন্ন রিসোর্ট খুব একটা নেই। আমাদের যাত্রা শুরুর পর থেকেই আমরা অতিথিদের কাছ থেকে দারুণ সাড়া পাচ্ছি।
এবারের বৈশাখী প্যাকেজ সম্পর্কে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, আগামী পহেলা বৈশাখে অতিথি, দর্শনার্থী এবং গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে বিশেষ প্যাকেজ রাখা হয়েছে রিসোর্টের পক্ষ থেকে। সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ‘ডে-লং স্টে’ প্যাকেজে জনপ্রতি ২৫৫০ টাকার মধ্যে সকালের পান্তা ইলিশের সঙ্গে পাবেন দুপুরের খাবার এবং সন্ধ্যার বার-বি-কিউ। দুপুরের খাবারে বাঙালি পদের পাশাপাশি থাকছে পোলাও ও মাংসের বিশেষ ডিশ। একই সঙ্গে টুইন শেয়ার এসি ডিলাক্স রুমও পাবেন অতিথিরা। এছাড়াও সুইমিংপুলে সারাদিন আনলিমিটেড সাঁতারের সুবিধাতো থাকছেই।