‘জামদানি শিল্প এলাকাকে পর্যটন নগরী করা হবে’
Tweet
নারায়ণগঞ্জে অবস্থিত জামদানি শিল্প এলাকাকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ১০ দিনব্যাপী ‘জামদানি পণ্যের প্রদর্শনী ও মেলা ২০১৯’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিসিক চেয়ারম্যান মোস্তাক হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব আব্দুল হালিম সহ আরও অনেকে।
বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, এই এলাকাকে মানসম্মত পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যেখানে আলাদা জামদানি মেলা হবে। দেশের সব জায়গায় জামদানি ছড়িয়ে পড়বে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা তাদের ন্যায্য পাওনা পাবেন।
শিল্প সচিবকে পর্যটন নগরীর জন্য একটি পরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, সচিব সাহেব জামদানি শিল্পনগরীকে যাতে আমরা পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে পারি তার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সর্বাত্মক সহায়তা করা হবে।
তিনি বলেন, ওই এলাকার প্রতিটি গ্রামে আমি গিয়েছি। তাদের জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে আমি জানি। এখানে যারা কাজ করেন তারা সবাই আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল। তারা জামদানি শাড়ি বিক্রি করে পেট চালাতে পারে না।
বিশেষ অথিতির বক্তব্যে পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, জামদানি শাড়ি আমাদের জাতীয় ঐতিহ্য। বিশ্বের দরবারে বেশ প্রসংশিত। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতরা শাড়ির প্রকৃত মূল্য পান না। তার কারণ, শাড়ি বুনা দেখে কিনতে দেশ বিদেশ থেকে লোকেরা আসেন। কিন্তু দীর্ঘ জ্যাম পেরিয়ে নারায়গঞ্জের রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁয়ে ক্রেতারা যেতে চান না। যারা যায় তারাও আবার বসার জায়গা না পেয়ে হতাশ। ফলে দিনদিন এই শিল্প নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে শিল্প, বস্ত্র এবং সংস্কৃত মন্ত্রণালয় মিলে সহায়তা দিয়ে জামদানি নগরীকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তার জন্য জায়গা প্রয়োজন হলে সেটারও ব্যবস্থা করা হবে। এখন পাট মন্ত্রণালয়ের অন্তত ২০ শতাংশ জমি অনাবাধি পড়ে আছে। এই জমি ফাঁকা না রেখে আমরা তিন মন্ত্রণালয় মিলে জামদানি শিল্পকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলি।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, এই শিল্পকে ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণের জন্য সহায়তা করা হবে। যাতে আরো গুণগতমান বৃদ্ধি হয়। বিদেশে শাড়ি রফতানি করে বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি করা যায়।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, জামদানি শিল্পে জড়িতরা আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না। একটি শাড়ি বানাতে ১ সপ্তাহ থেকে একমাস পর্যন্ত সময় লাগে। তাদের ঋণ সহায়তা দিয়ে সহায়তা করা দরকার।