ভ্রমণে সুস্থ থাকতে করণীয়
Tweet
ভ্রমণের সময় সুস্থ থাকা একান্ত প্রয়োজন। কিন্তু ভ্রমণে গিয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। যদিও কিছু নিয়ম মেনে ভ্রমণ করলে দেহ যেমন সুস্থ থাকবে, তেমনি ভ্রমণের আনন্দও পাওয়া যাবে। এ লেখায় থাকছে তেমন কয়েকটি উপায়।
১। ভ্রমণকালে অপরিচিত স্থানে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার আগে একবার ভেবে দেখুন। এতে যদি আপনার ডায়রিয়া কিংবা অনুরূপ পেটের অসুখ হয়ে যায় তাহলে কী হবে? এ ছাড়া রয়েছে পরিষ্কার পানির বিষয়টি।
২। ভ্রমণে গিয়ে আমাদের অনেকেই দেহের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে খবর রাখি না। পর্যাপ্ত পানি পান কিংবা খাবার গ্রহণ না করায় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ ছাড়া রয়েছে দেহের চাহিদা মেটানোর মতো পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার ও পানীয় গ্রহণ করার বিষয়টি।
৩। নতুন কোনো স্থানে গেলে সে স্থানটি হেঁটে দেখা অনেকেরই প্রিয় কাজ। এতে স্থানটি সম্পর্কে প্রচুর জানাও যায়। তবে একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, মাত্রাতিরিক্ত হাঁটাহাঁটি আপনার উদ্যম নষ্ট করতে পারে।
৪। ভ্রমণের সময় সাথে কিছু প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখুন। যেমন-প্যারাসিটামল, অ্যান্টিহিস্টামিন, অ্যান্টাসিড ইত্যাদি।
৫। নিয়মিত কোনো ওষুধ ব্যবহার করলে তা সাথে রাখুন।
৬। অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ও লিউকোপ্লাস্ট সাথে নিন।
৭। ভ্রমণের সময় হাম হলে বা হওয়ার আশঙ্কা থাকলে চিকিৎসকের নির্দেশিত ওষুধ খেয়ে নিন এবং সাথে রাখুন।
৮। ওরস্যালাইন কয়েক প্যাকেট সাথে নিন।
৯। আপনার যদি ডাস্ট অ্যালার্জি থাকে তবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যানবাহনে ভ্রমণ করাই ভালো। আর তা সম্ভব না হলে ধুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।
১০। যাদের মাইগ্রেন-জাতীয় মাথাব্যথা আছে, তারা তাদের ওষুধ সাথে রাখবেন এবং রোদে চশমা ব্যবহার করবেন।
১১। শিশুদের সাথে নিয়ে ভ্রমণের সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বনের প্রয়োজন। শিশুর প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং তাকে নিয়মিত যে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান, তার মোবাইল নম্বর সাথে রাখুন; প্রয়োজনে যোগাযোগ করবেন।
১২। শিশুর খাবার সম্ভব হলে সাথে নিয়ে যাবেন। বাইরের খাবার দেয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। নতুন কোনো খাবার দেবেন না বা যাতে অ্যালার্জি হয়, এমন খাবারও নেবেন না।
১৩। একটু সতর্কতার সাথে ভ্রমণ করলেই তা আপনাদের জন্য হবে আনন্দদায়ক। প্রয়োজনে নিকটবর্তী চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন।
১৪। দূরবর্তী স্থান ভ্রমণে জেট ল্যাগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা থাকে। এ ছাড়া রয়েছে ভ্রমণে ক্লান্তির বিষয়টি। তাড়াহুড়ো করে বহু দর্শনীয় স্থান ভ্রমণে এমনটা হতে পারে। তাই হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে নিজের ঘুম ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করতে হবে।