ঘুরে আসতে পারেন পাকশী রিসোর্ট
Tweet
পদ্মার পাড়ে মনোমুগ্ধকর পরিবেশে প্রিয়জনদের নিয়ে ঘুরে আসতে চাইলে পাবনার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত পাকশী রিসোর্ট হতে পারে আপনার গন্তব্য। প্রমত্তা পদ্মার পাশেই ৩৩ একর জায়গাজুড়ে গড়ে উঠেছে ‘পাকশী রিসোর্ট’। আধুনিক স্থাপত্যশৈলী এবং ল্যান্ডস্কেপিং রিসোর্টটিকে দিয়েছে ভিন্ন মাত্রার সৌন্দর্য। আছে লং টেনিস, বাস্কেট বল, ব্যডম্যেন্টন, টেবিল টেনিস, বিলিয়ার্ড, কেরাম ও দাবাসহ আরো নানা ধরনের ইনডোর গেইমস। হাটতে পারেন ফুল বাগান বা লেকের ধারে। সাঁতার কাটতে পারেন সুইমিং পুলের স্বচ্ছ পানিতে। রিসোর্টে আছে দেশি বিদেশী প্রায় ৪ শতাধিক নানা প্রজাতির গাছ ও ফলের বাগান। অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন যারা, আয়োজন করতে পারেন ক্যাম্প ফায়ারের এবং থাকতে পারেন তাঁবুতে। এখানে রয়েছে একটি মিনি চিড়িয়াখানাও। দেখতে পাবেন চিত্রা হরিণ, বানর ও কালিম পাখি। যারা নগর জীবনের ক্লান্তিতে হাঁপিয়ে উঠেছেন কিছুটা সময়ের জন্য একটু নির্মল বাতাস আর আনন্দ পেতে চান তারা চলে যেতে পারেন পাকশী রিসোর্টে। সেই সাথে আপনি লোকজ সঙ্গীত উপভোগ করতে পারেন।
কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে মহাখালী-কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে করে যেতে হবে পাবনার ঈশ্বরদীর পাকশীতে। পাকশী থেকে পাকশী রিসোর্ট মাত্র ২০-২৫ মিনিটের পথ। ট্রেনেও যেতে পারেন আপনি। ঢাকা থেকে ট্রেনে যেতে হলে কমলাপুর বা বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গের যে কোনো ট্রেনে উঠে ঈশ্বরদী বাইপাস বা জংশনে নেমে পাকশী যেতে পারেন। সেখানে রিকশা বা গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন। মাত্র ১০ মিনিটের পথ।
কোথায় থাকবেন
এ রিসোর্টে পর্যটকদের জন্য রয়েছে তিন তলা বিশিষ্ট দুইটি ভবন। এর প্রতিটি কক্ষই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত।
কী খাবেন
পাকশী রিসোর্টে আছে ষড়ঋতু নামের একটি আধুনিক রেস্টুরেন্ট। এ রেস্টুরেন্টে ঘরোয়া পরিবেশে পরিবেশন করা হয় নদীর টাটকা মাছ। রিসোর্টের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশি, ইন্ডিয়ান, চায়নিজ, থাই কিংবা অন্যান্য বিদেশি খাবারের সুব্যবস্থা রয়েছে। পাবেন দেশি-বিদেশি ফলের নানা ধরনের জুস, বেকারি ও প্যাস্ট্রি শপ।