ঘুরে আসতে পারেন বাওয়াছড়া লেক
Tweet
বাওয়াছড়া লেকটি মিরসরাই এর ওয়াহেদপুর গ্রামের বারমাসি ছড়ার মুখে অবস্থিত বলে লেকটির নামকরণ করা হয়েছে বাওয়াছড়া লেক। মিরসরাই উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ছোটকমলদহ বাজারের দক্ষিণ পাশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দেড় কিলোমিটার পূর্বে লেকের অবস্থান। এর মধ্যে সামান্য পথ ছাড়া বাকি পথ গাড়িতে যাওয়া যায়। টলটলে শান্ত পানির চুপচাপ বয়ে চলার ধরনই বলে দেবে এর উৎস অবশ্যই বিশাল কিছু থেকে। শেষ বিকেলের সূর্যের আলো যখন লেকে পড়ে তখন দূর থেকে মনে হয় পুরো প্রকল্পটি যে একটি পর্যটন কেন্দ্র।
মনোমুগ্ধ প্রাকৃতিক চাদরে ঢাকা প্রকল্পটিতে ঝর্ণার পানি আছড়ে পড়ছে। দূর থেকে শোনা যায় ঝর্ণার পানি গড়িয়ে পড়ার নূপুরধ্বনি, পাহাড়িয়া সবুজ গাছের সমারোহে অতিথি পাখিদের কলতান কার না মন জুড়ায়। শিশু থেকে বৃদ্ধ যে কেউ মুগ্ধ হবেন বাওয়াছড়া দেখে। সে যেন সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। অনুপম নৈসর্গিক দৃশ্য। দুই পাশে সুউচ্চ পাহাড়। সাঁ সাঁ শব্দে উঁচু পাহাড় থেকে অবিরাম শীতল পানি গড়িয়ে পড়ছে বাওয়াছড়া লেক এ।
প্রকৃতির নান্দনিক তুলিতে আঁকা সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছে দেশের ভ্রমণপিয়াসী মানুষ। অনেকে রাতের বেলায় চাঁদের আলোয় ঝর্ণার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পাহাড়ের পাদদেশে তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান করছেন। প্রকৃতির অপরূপ সৃষ্টি সেতুবন্ধ করে, সবুজের চাদরে ঢাকা বনানী রূপের আগুন ঝরায়, যেখানে প্রকৃতি খেলা করে আপন মনে, ঝুম ঝুম শব্দে বয়ে চলা ঝর্ণাধারায় গা ভিজিয়ে মানুষ যান্ত্রিক জীবনের অবসাদ থেকে নিজেকে ধুয়ে সজীব করে তুলছে বাওয়াছড়া ঝর্ণায়।
কিভাবে যাবেন
ঢাকার ফকিরাপুল, সায়দাবাদ, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে চট্টগ্রামগামী যেকোনো বাসে করেই চট্টগ্রাম পৌঁছাতে পারেন। এরপর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই উপজেলার ছোটকমলদহ বাজারের দক্ষিণ পাশে নেমে মাত্র দেড় কিলোমিটার পূর্বে পাহাড়ের পাদদেশে বাওয়াছড়া লেক এর অবস্থান। চট্টগ্রাম থেকে ছোট কমলদহ গাড়ি করে পৌছতে সময় নেবে ৪০-৪৫ মিনিট এর মত।
কোথায় থাকবেন
মিরাসরাই বা ছোটকমদহে থাকার কোনো হোটেল নেই। তাই আপনাকে চট্টগ্রাম শহরে চলে আসতে হবে। চট্টগ্রামে নানান মানের হোটেল আছে।