ঘুরে আসুন আট কবর

Share on Facebook

দামুরহুদার নতিপোতা ইউনিয়নের নাটুদহ গ্রামে ১৯৭১ সালের ৫ই আগস্ট পাক সেনাদের সাথে সন্মুখযুদ্ধে শহীদ আটজন বীর মুক্তিযোদ্ধার কবর বিদ্যমান যা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত আটকবর নামে ঐতিহাসিক মর্যাদা লাভ করেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় ঘুরলে মুক্তিযুদ্ধের কিছু না কিছু ইতিহাস পাওয়া যায়। চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার আট কবর তেমনেই বয়ান করছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস। স্থানীয় ভাবে চুয়াডাংগায় ৫ই আগস্ট শহীদ দিবস পালিত হয়। কারন এই দিনে দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে ৮জন বীর সেনানি সম্মুখ যুদ্ধে দেশের জন্য শহীদ হন। তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও হুইপ সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের বিশেষ উদ্যেগে তৈরী হয়েছে আট কবর স্মৃতি কমপ্লেক্স। এখানে একটি মুক্ত মঞ্চ আছে। আছে সুরম্য মুক্তিযুদ্ধ সংগ্রহশালা। ফুল বাগান আর বিভিন্ন প্রজাতির ফলগাছ । এর সীমাবদ্ধতা হচ্ছে- এর পরিসর ছোট। চেষ্টা চলছে এর পরিসর বৃদ্ধির। ৬ কিলোমিটার দুরে বাংলাদেশর প্রথম রাজধানী মুজিবনগর। এর খুব কাছেই রয়েছে জমিদার নফর পালের হাজার দুয়ারি ঘর আর তাঁর স্ত্রীর জন্য নির্মিত অপুরুপ ‘তালসারি সড়ক’।

Image result for আট কবর

কীভাবে যাবেন

এটি চুয়াডাঙ্গায় পড়লেও মেহেরপুর মুজিবনগর থেকে কাছে। মেহেরপুরের কেদারগঞ্জ থেকে মাত্র ৮ কিমি। তাই মুজিবনগর ঘুরে কেদারগঞ্জ চলে আসুন। এখান থেকে ভ্যানে আট কবর।

 

কোথায় থাকবেন

শয়ন বিলাস হোটেল- চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা অফিস/ একাডেমী মোড় এর কাছে, শহীদ আবুল কাসেম সড়কে অবস্থিত। শহরের যেকোনো জায়গা থেকে অটোতে গেলে ৫-১০ টাকা ভাড়া লাগবে।

 

কী খাবেন

চুয়াডাঙ্গার বিখ্যাত ‘কালিপদের মিষ্টি’ খেতে ভুলবেন না। এটি চুয়াডাঙ্গা শহরের রেলগেটের পাশে অবস্থিত, রিকশায় গেলে ১০-১৫ টাকা ভাড়া লাগবে। চমচম,দই,রসগোল্লা প্রত্যেকটিই সেরা ।

 

Leave a Reply