ঘুরে আসুন কালাগুল চা বাগান
Tweet
সিলেটের প্রাচীন চা বাগানগুলোর অন্যতম কালাগুল। বাগানে প্রবেশের পর পরই মেঠো পথধরে হাঁটতে হাঁটতে শোনা যায় কিচির-মিচির, যেন আপনাকে স্বাগত জানাতে উল্লাসে মেতেছে নানা জাতের বুনো পাখি। চা আর ছায়া বৃক্ষের সবুজে মোহিত তো হবেনই, সেই সাথে পিছিয়ে পড়া চা-জনগোষ্ঠীর জীবনটাকেও নিজ চোখে দেখা যায়। সেজন্য অনুমতি নিয়ে তাদের কারো বাড়িতে ঢুকে পড়তে পারেন। কথা বলতে বলতে জানতে পারবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষের এই সময়েও তারা কতভাবে নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত।
কাজ সেরে সারিবদ্ধভাবে পিঠে ঝোলানো ঝুড়ি নিয়ে মৃদু পদেক্ষেপে এগিয়ে যাওয়া চা-কন্যাদের দেখে মুগ্ধ হওয়ার পাশাপাশি জীবনটাকে নিয়ে নতুন করে চিন্তাভাবনার প্রেরণাও পাওয়া যায়। কখনো কখনো মাথায় বাঁশের বোঝা নিয়ে দ্রুত ছুটে চলা এই মানুষগুলোর জীবন যুদ্ধ, পাওয়া না পাওয়ার হতাশা নিমেষে হাওয়ায় মিলিয়ে দিতে পারে। আর নানা জাতের বাঁশ ও বেতবাগানও আছে কালাগুলে। আছে কয়েকটি ন্যাড়া টিলা।
যেভাবে যাবেন
রাজধানী থেকে বাস, ট্রেন বা বিমানযোগে আপনি সিলেট মহানগরীতে প্রবেশ করতে পারেন। সায়দাবাদ-ফকিরাপুল থেকে দূরপাল্লার বাসে সিলেটের দক্ষিণ সুরমাস্থ কদমতলী যেতে আপনার খরচ পড়বে সাড়ে ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা। সেখান থেকে বন্দরবাজার যেতে রিকশায় খরচ হবে ৩০ থেকে ৫০ টাকা আর সিএনজি অটোরিকশায় ৭০ থেকে ১০০ টাকা। বন্দরবাজার থেকে সিএনজি অটোরিকশায় আম্বরখানা যেতে খরচ পড়বে জনপ্রতি ১০ টাকা। আর আম্বরখানা থেকে শহরতলীর সাহেববাজার যেতে জনপ্রতি খরচ পড়বে ৩০ টাকা। সিএনজিচালিত অটোরিকশা রিজার্ভ নিয়ে গেলে খরচ ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। সাহেববাজার থেকে কালাগুল বাগানে যেতে রিজার্ভ অটোরিকশার ভাড়া ১০০ টাকা।
যেখানে থাকবেন
সিলেট শহরের বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, দরগাহ গেইট এলাকায় প্রচুর আবাসিক হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলে থাকার খরচ পড়বে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা। এ ছাড়া কয়েকটি অভিজাত হোটেলও আছে।