ঘুরে আসুন বরসা রিসোর্ট
Tweet
প্রবেশপথের ফটকের দু’পাশে দাঁড়িয়ে আছে দু’টি বাঘ। গেট দিয়ে রিসোর্টের ভেতরে প্রবেশ করে দেখা যায় উঠোনে ব্যাঙ। মূল ভবনের প্রথম তলার সিঁড়িতে দোয়েল ও ঈগল পাখি। দ্বিতীয় তলায় হরিণ আর বক। তৃতীয় তলায়ও বক-হরিণের অভ্যর্থনা। কৃত্রিম এসব পশু-পাখি দেখে সুন্দরবনের ধারণা পাওয়া যায়।
রিসোর্টের ছাদে দাঁড়িয়ে পশ্চিম দিকে তাকালে দেখা যাবে সুন্দরবন। যা দেখে মুগ্ধ হবেন যে কোনো পর্যটক। ছাদে বসে সুন্দরবন দেখার পাশাপাশি শীতের সকালে কাঁচা রোদের উম মাখতে পারবেন গায়ে। একইসঙ্গে পূর্ব দিকে তাকালে বড় একটি পুকুরের চার পাশে শত শত নারিকেল গাছে চিরল পাতার ওপর পাখিদের ওড়াউড়ি ও কিচির-মিচির যে কারও মনে দোলা দেবে।
এই বর্ণনা সাতক্ষীরার শ্যামনগরের মুন্সীগঞ্জের বরসা রিসোর্টের। প্রায় ৫০ বিঘা জমির ওপর ২০০৯ সালে এটি গড়েছেন পর্যটনবান্ধব ব্যক্তিত্ব এ কে এম আনিছুর রহমান।
দৃষ্টিনন্দন এ রিসোর্টে এসে যে কোনো সময় উপভোগ করতে পারেন বিশ্বের সবচেয়ে ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের সৌন্দর্য্য। কেবল সুন্দরবন দেখানোর জন্য নয়, সুন্দরবনকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয়ভাবে তুলে ধরতে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ এখানে সুন্দরী, পাইন, গেওয়া, কেওড়াসহ বনের বিভিন্ন গাছ লাগিয়েছে এখানে।
কীভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সাতক্ষীরাগামী বাসে চড়ে সাতক্ষীরা সদরে এবং পরে শ্যামনগর-মুন্সিগঞ্জের বাসে অথবা গাড়ী ভাড়া করে সোজা রিসোর্টে। মুন্সিগঞ্জ বাজার থেকে বরসা রিসোর্টে ইজিবাইকে মাথাপিছু ভাড়া ৫ টাকা। বুড়িগোয়ালিনী ঘাটে বাজার থেকে যাবেন ভাড়ার মোটরসাইকেলে, দুজন ৫০ টাকা।
কোথায় থাকবেন
রিসোর্টেই থাকতে পারবেন। রুমে টিভি ও এসি আছে কিন্তু পানি লবনাক্ত। রুম ভাড়া ১৭০০/= থেকে ৩০০০/= এর মত। দুজন থাকার উপযোগী নন এসি রুমের ভাড়া ১০০০ টাকা প্রতি রাত।
কী খাবেন
রিসোর্টেই তাজা কাকরা ও মাছ, চিংড়ি এবং বারবিকিউ সবই আছে, রান্না অসাধারন। এছাড়াও বর্ষা রিসোর্ট থেকে দশ মিনিটের হাটা দূরত্বে মুন্সিগঞ্জ বাজার। সেখানে ঝুপড়ি টাইপ হোটেলগুলোতে মিলবে মুরগী ,গরু, বিভিন্ন ধরনের চিংড়ি আর কাঁকড়া।