যেতে পারেন চর কুকরী-মুকরী

Share on Facebook

বাংলাদেশের একমাত্র দ্বীপজেলা ভোলার মূল ভূখণ্ড থেকে দক্ষিণে মেঘনা নদী পার হয়ে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি চর কুকরী-মুকরীর অবস্থান। দ্বীপের পূর্বদিকে প্রমত্তা মেঘনা ও শাহাবাজ চ্যানেল। দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর, পূর্বে বুড়া গৌড়াঙ্গ এবং মেঘনার মিলনস্থল। চর কুকরী-মুকরীকে দ্বীপকন্যাও বলা হয়ে থাকে। ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল, বন্যপ্রাণী আর সমুদ্রসৈকতকে ঘিরে সৌন্দর্যের এক বর্ণিল উপস্থিতি যা প্রকৃতি প্রেমিক পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকে। প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ বছর পুরনো এ চরে আজও সভ্যতার ছোঁয়া লাগেনি। বঙ্গোপসাগরের কুলে মেঘনা-তেঁতুলিয়ার মোহনায় প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠা বিশাল বনাঞ্চল বেষ্টিত এ দ্বীপে বিচরণ করছে অসংখ্য হরিণ, গরু-মহিষ, বানর এবং নানা প্রজাতির বন্যপ্রাণী।

Image result for চর কুকরী-মুকরী

চর কুকরীতে যাওয়ার পথে বিস্তৃত বনায়ন মাঝেমধ্যে চিতাবাঘেরও উপস্থিতি টের পাওয়া যায় এ দ্বীপকন্যার বুকে। এখানে নিরাপদ নৌ-যোগাযোগ ব্যবস্থা, হোটেল-মোটেলসহ আধুনিক পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারলে তা কুয়াকাটার চেয়েও নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিণত হতে পারে। এর পাশাপাশি চর পাতিলা ও ঢালচরও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা পৃথক দুটি দ্বীপ। এখানেও শীতের সময় বিভিন্ন প্রজাতির পাখিসহ হরিণ, বালিহাঁস মানুষের মন জুড়ানো পরিবেশের সূচনা করে। ওটঈঘ চর কুকরী-মুকরীকে বিশ্ব জীববৈচিত্র্যের স্থান হিসেবে চিহ্নিত করে। প্রায় ৪৫০ বছর আগে বঙ্গোপসাগরের কোল ঘেঁষে প্রমত্তা মেঘনার মোহনায় এ ভূখণ্ডের পত্তন ঘটে। কথিত আছে পত্তনের পর প্রথমদিকে এ চরে কুকুর আর ইঁদুরের প্রভাব ছিল খুব বেশি। ইঁদুরের আর এক নাম মেকুর, আর তা থেকে এ চরের নামকরণ করা হয় ‘চর কুকরী-মুকরী’।

Image result for চর কুকরী-মুকরী

যেভাবে যাবেন

ঢাকা টু ঘোষের হাট (ভোলা),  ভোলা সদর থেকে গাড়ি যোগে ১০০ কি.মি. পাড়ি দিয়ে কচ্ছপিয়া পৌঁছে সেখান থেকে পুনরায় ৩০ কি.মি. নৌকা-ট্রলার বা স্পিডবোটে মেঘনা নদী অতিক্রম করে এ দ্বীপে পৌঁছাতে হয়। অথবা ঢাকা থেকে সরাসরি লঞ্চে করে মনপুরা। সেখান থেকে ট্রলার ভাড়া করে চরকুকরিমুকরি। সময় লাগবে ঘন্টাপাচেক। তবে এক্ষত্রে বড় দল থাকলে সুবিধা হবে।

 

থাকা খাওয়া

চর কুকরি মুকরিতে কোন আবাসিক হোটেল বা রিসোর্টের ব্যবস্থা নেই। থাকার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে উঠতে হবে। জেলা পরিষদের সামনে আছে বিশাল ফাঁকা মাঠ আর পুকুর। বাজারের পাশেই এই ইউনিয়ন পরিষদ। এছাড়া বাজারে যে দুইটি খাবারের হোটেল আছে তাদের বললেও কোন বাড়িতে থাকার ব্যবস্থা করে দিবেন। তবে সবচেয়ে সহজ আর মজাদার থাকার ব্যবস্থা হলো চরে ক্যাম্প করে থাকা। এতে করে খরচ যেমন বাঁচবে, সাথে পাবেন প্রাকৃতিক এক অন্যরকম ভিন্ন পরিবেশ। এই চরের যেখানে খুশি ক্যাম্প করতে পারেন, সম্পূর্ণ নিরাপদ।

Leave a Reply