ঘুরে আসুন কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ি
Tweet
দর্শনীয় স্থান হিসেবে কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ি অনেক দিন ধরে পরিচিত। কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ি প্রতিষ্ঠিত হয় প্রায় একশতক বছর আগে। কীর্তিপাশা প্রাসাদ নির্মাণ করেন রামজীবন সেন এবং রাজা কীর্তি নারায়নের নামে প্রাসাদটির নামকরন করেন। জানা যায়, এই জমিদার বাড়ির জমিদারপুত্রকে বিষ খাইয়ে হত্যা করা হয়। এবং তার স্ত্রীও তার সাথে সহমৃত্যুবরণ করেন। পরে তাদেরকে একসাথে সমাধি করা হয়। এখানে এখনো একটি নাট মন্দির, হল ঘর, ছোট ও বড় মন্দির আছে। এই জমিদার বংশের দুজন বিখ্যাত ব্যক্তি হচ্ছেন রোহিনী রায় চৌধুরী ও তপন রায় চৌধুরী। বর্তমানে জমিদার বাড়ির একটি অংশে রয়েছে প্রসন্ন কুমার মাধ্যমিক বিদ্যালয়। নাটমঞ্চ ও হলরুমে কমলিকন্দ নবীন চন্দ্র বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। আর মূল জমিদার বাড়ি ও দূর্গামন্দির লতা-পাতা, জঙ্গলে জরাজীর্ণ হয়ে রয়েছে। রোহিনিগঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন রোহিণী রায় যেখানে ঝালকাঠি জেলা হাসপাতালের চেয়েও একটি পুরানো হাসপাতাল রয়েছে। এছাড়া এখানে শিবের মূর্তিসহ একটি পারিবারিক শিবমন্দির আছে।
যেভাবে যাবেন
ঢাকার সদরঘাট থেকে ঝালকাঠি ও বরিশালের উদ্দেশে প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাত-আটটি বিলাসবহুল লঞ্চ ছেড়ে যায়। অনেকে বরিশাল নেমে লোকাল বাসে করেও ঝালকাঠি যান। সরাসরি বাসে করেও ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে পারেন। ঢাকার গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ঝালকাঠির উদ্দেশে বিভিন্ন বাস ছাড়ে।
কোথায় থাকবেন
ঝালকাঠিতে পর্যটকদের থাকার জন্য ভালো তেমন কোনো হোটেল নেই। ধানসিঁড়ি রেস্ট হাউস ও হোটেল আরাফাত নামে মধ্যম মানের দুটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। তবে এলজিইডি, জেলা পরিষদ ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে রেস্ট হাউস রয়েছে। বরিশাল শহরে অ্যাথেনা, এরিনা, হোটেল আলী ইন্টারন্যাশনালসহ বেশ কিছু ভালোমানের হোটেল রয়েছে।