ঘুরে আসুন ঘোড়াশাল জমিদার বাড়ি
Tweet
ঘোড়াশালের ডাংগা ইউনিউনে রয়েছে শত বছরের পুরোনো জমিদার বাড়ি। নিপুণ কারুকাজ করা জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেন মোঘল আমলের জমিদার লক্ষণ সাহা। বাড়ির কারুকাজ মুগ্ধ হওয়ার মতো। এছাড়া বাড়ির সামনে রয়েছে শান বাঁধানো পুকুর।
পুকুর ঘাটে দেখতে পাবেন মূল্যবান কষ্টিপাথরের ঢালাই। বর্তমানে একজন উকিল এই বাড়ির কিছু অংশ ক্রয় করেছেন বলে এখন বাড়িটি উকিল বাড়ি নামে পরিচিত। বাড়িটির পাশেই রয়েছে আরও দুটি পরিত্যক্ত জমিদার বাড়ি।
ঘোড়াশাল মিয়া পাড়া রোডে রয়েছে আরেকটি জমিদার বাড়ি যা “ঘোড়াশাল জমিদার বাড়ি” নামে পরিচিত। স্থানীয়ভাবে মনু মিয়ার বাড়ি বললেই সবাই চেনে। এ বাড়িটিও বেশ পুরনো একটি জমিদার বাড়ি। এ বাড়ির ভেতরের বাগান আপনাকে অবশ্যই মুগ্ধ করবে।
ঘোড়াশালের পাশ দিয়েই বয়ে গেছে শীতলক্ষ্যা নদী। নদীর পাড়ের নির্মল বিশুদ্ধ বাতাস মন ভালো করে দেয় নিমিষেই। চাইলে নৌকা নিয়ে নদীতে ঘুরা যায়।
ঘোড়াশাল টু পলাশ বাইপাস রাস্তাটির সৌন্দর্য মুগ্ধ করার মতো। রাস্তার দুপাশে গাছের সারি, আর রাস্তার পাশেই রয়েছে পদ্মবিল। বর্ষাকালে বিলটি পানিতে টইটুম্বুর থাকে। তখন বিলে দেখা যায় পদ্মফুল এবং শাপলা ফুল। বিলের গভীরতা বেশি না। তাই চাইলে নিজে পানিতে নেমেও ফুল উঠানো যায়।
কীভাবে যাবেন-
ঢাকার গুলিস্থান থেকে মেঘালয় বাসে উঠতে হবে। পাঁচদোনা নেমে সিএনজি নিয়ে ডাংগা বাজার। বাজারের কাছেই লক্ষণ সাহার জমিদার বাড়ি। সেখান থেকে রিক্সায় করে ঘোড়াশাল বাজারে গিয়ে যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই মনু মিয়ার জমিদার বাড়ি পেয়ে যাবেন।
কী খাবেন-
ঘোড়াশালে আসলে অবশ্যই ভাই ভাই মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালাইচপ এবং দই খেতে ভুলবেন না। ঘোড়াশালের আনারস খুব সুস্বাদু। এছাড়া রয়েছে লটকন, কলা।