ঘুরে আসুন টাংগুয়ার হাওড়
Tweet
টাঙ্গুয়ার হাওর মানুষের কাছে ভ্রমণের একটি অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে দিনেদিনে। বর্ষা ও শীত দুই ঋতুতেই টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ বেশ উপভোগ্য। দুই মৌসুমে হাওর ভ্রমণে গেলে দেখতে পাওয়া যাবে দুই রূপ। শীতে হাজারো অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত থাকে যে হাওর সেই হাওরই বর্ষায় থৈথৈ পানিতে টুইটুম্বর। বর্ষাকালে টাংগুয়ার হাওর যেনো হয়ে ওঠে কোনো উত্তাল সমুদ্র। আর শীতকালে পরিযায়ী পাখিদের অভয়ারণ্য। তাই শীত কিংবা বর্ষা যেকোনো মৌসুময়েই টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ থাকে পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্র বিন্দুতে।
প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এ হাওর বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি। এটি সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা ও তাহিরপুর উপজেলায় ভারতের মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। মেঘালয় পাহাড় থেকে ৩০টিরও বেশি ঝরনা এসে মিশেছে এই হাওরে। দুই উপজেলার ১৮টি মৌজায় ৫১টি হাওরের সমন্বয়ে ৯৭২৭ হেক্টর এলাকা নিয়ে টাঙ্গুয়ার হাওর জেলার সবচেয়ে বড় জলাভূমি।
স্থানীয় লোকজনের কাছে হাওরটি ‘নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল’ নামেও পরিচিত। এখানে হাওরের পাশাপাশি আপনারা আরও যে যে স্থানগুলো দেখতে পাবেন তা হলো—
১. যাদুকাটা নদী ২. বারেকের টিলা ৩. টেকেরঘাট এবং বরছরা ৪. চুনাপাথরের লেক ৫. অদ্বৈত শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বাড়ি
টাঙ্গুয়ার হাওরে যেতে হলে আগে সুনামগঞ্জ যেতে হবে, তাই সময় পেলে ঘুরে আসুন সুনামগঞ্জে দেখার মতো এ জায়গাগুলো:
১. শাহ আরেফিনের মাজার ২. শাহ আব্দুল করিমের বাড়ি ৩. হাসন রাজার বাড়ি এবং তাঁর সমাধি ৪. নারায়ণতলা ৫. গৌরারং জমিদার বাড়ি
কীভাবে যাবেন
প্রথমে ঢাকা থেকে আপনাকে সুনামগঞ্জ যেতে হবে। তার পর সুনামগঞ্জের নতুন ব্রিজ থেকে আপনি লেগুনা, বাইক অথবা সিএনজি করে আসবেন তাহেরপুর। তাহেরপুর থেকে আপনাকে যেতে হবে সোলেমানপুর। সোলেমানপুর থেকে নৌকা করে ওয়াচ টাওয়ার এর কাছে নৌকা ভিড়াবেন। তারপর শ্রীপুরে গিয়ে মোটরসাইকেলযোগে টেকেরঘাট, সেখান থেকে বারেকেরটিলা এবং যাদুকাটা নদীর পাড়। চাইলে নতুন দর্শনীয় জায়গা শিমুলবাগানও দেখে আসতে পারেন।