ঘুরে আসুন বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড (পুটনির দ্বীপ)

Share on Facebook

পুটনির দীপ সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জ এ পড়েছে। বাংলাদেশের নতুন দেখা পাওয়া এই পুটনি আইল্যান্ড অপর নাম “বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড”। হিরণ পয়েন্ট, দুবলার চর ও লোনাপানির মাছের খনির মাঝামাঝি বঙ্গোপসাগরের গভীরে জেগে ওঠা বিশাল ভূখণ্ড ‘বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড। মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০ নটিক্যাল মাইল ও বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন উপকূল দুবলার চর-হিরন পয়েন্ট থেকে ১০ নটিক্যাল মাইল দূরে সাগর গভীরে এই দ্বীপটি বাংলাদেশের আরেক ‘সেন্ট মার্টিন। সুন্দরবনের দুবলার চর থেকে যাওয়া যায়। এইটার এক প্রান্তে লাল কাকড়ার ঝাক দেখতে পাবেন আর অন্য প্রান্তে কাশবন আর হরিনের। মাইলের পর মাইল দীর্ঘ এই সৈকতে বসে দেখা মেলে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের। প্রায় ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকত জুড়ে ঘুরে ফিরছে কচ্ছপ, হাজারো লাল রঙের ছোট শিলা কাঁকড়া। বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের মালেক ফরাজী নামের এক জেলে এ দ্বীপটির নামকরণ করেন বঙ্গবন্ধুর নামে। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা থেকে মালেক ফরাজী ওই দ্বীপটির নাম ‘বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড’ একটি সাইনবোর্ডে লিখে এনে টানিয়ে দেন। এর পর থেকে দ্বীপটির নাম হয়ে যায় বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড।

Image result for বঙ্গবন্ধু আইল্যান্ড (পুটনির দ্বীপ)

কীভাবে যাবেন?

আপাতত কটকা ও কচিখালি কিংবা দুবলার চর বা হিরণ পয়েন্ট যেভাবে যায় সেভাবেই যেতে হবে। খুলনায় কয়রা উপজেলা থেকে যদিও কাছে হবে কিন্তু সে রুট নিরাপদ কিনা তা না জেনে যাওয়া যাবেনা। ঢাকা থেকে খুলনা বা সাতক্ষীরা হয়ে যেতে পারেন মংলা বন্দর দিয়ে। খুলনা যাওয়ার জন্য বাস বা ট্রেন আছে আর সাতক্ষীরা যেতে পারবেন বাসে। কেউ চাইলে যশোর হয়ে বিমানবন্দর হয়ে যেতে পারেন।

যে কোন ট্যুর কোম্পানির সাথে চুক্তি করে সুন্দরবনে যাওয়া যায়। সুন্দরবনে যাওয়ার পর ট্যুর কোম্পানির লোকদের সহায়তায় কাটকাতে যাওয়া যায়। ঢাকার গাবতলী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে কিংবা কমলাপুর থেকে খুলনা গামী ট্রেনে করে খুলনা গিয়ে সুন্দরবনে যাওয়া যায়।

মংলা বন্দর থেকে লঞ্চ যায় কটকা কচিখালি কিংবা হিরণপয়েন্ট পর্যন্ত। এগুলো ট্যুরিস্ট শিপ। প্যাকেজের আওতায় যেতে হয়। সেখান থেকে নৌকায় করে আপনি যেতে পারেন পুটনীর দ্বীপে। আর যদি নিজেরা আলাদা করে যেতে চান তাহলে নৌকা ভাড়া করে যেতে হবে বড় দল নিয়ে সেজন্য অবশ্যই বনরেঞ্জের অনুমতি নিতে হবে। সেক্ষেত্রে লম্বা জার্নি রয়েছে। তাবে পথে দুবলার চরে বনবাংলোতে রাত কাটাতে পারেন। এজন্য আগে থেকেই যোগাযোগ করতে হবে।

 

কোথায় থাকবেন

ট্যুরিস্ট ভেসেল বা নৌযান ছাড়াও সুন্দরবনের অভয়ারণ্যে হিরণপয়েন্টের নীলকমল এবং টাইগার পয়েন্টের কচিখালী ও কাটকায় বন বিভাগের রেস্টহাউজে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। সুন্দরবনের পাশে সাতক্ষীরা শহরে সাধারণ মানের হোটেল ও শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জে এনজিও সুশীলনের রেস্টহাউস ও ডরমেটরিতে একক,পরিবার ও গ্রুপ নিয়ে থাকার সুবিধা রয়েছে। মংলায় আছে পর্যটন কর্পোরেশনের হোটেল,পশুর বন্দরে সাধারণ হোটেল আছে পর্যটকদের থাকার জন্য।

তবে বঙ্গবন্ধু দ্বীপে বেড়াতে গেলে সেখানে থাকাই ভালো। সেজন্য আপনার প্রস্তুতি থাকা চাই। থাকা চাই সারভাইভ করার মানসিকতা, সাহস এবং এডভেঞ্চার চিন্তা।

 

Leave a Reply