ঘুরে আসুন শাহপরীর দ্বীপ
Tweet
বাংলাদেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অবস্থিত শাহপরীর দ্বীপ।পাহাড়-সমুদ্রের অনিন্দ্য সৌন্দর্যের এক বিস্তীর্ণ দ্বীপ।এটি মূলত সাবরাং ইউনিয়নের একটি গ্রাম। এক সময় এটি দ্বীপ থাকলেও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কিছুকাল অগে এটি মূল ভূ-খণ্ডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। টেকনাফ উপজেলা শহর থেকে শাহপরীর দ্বীপের দূরত্ব প্রায় পনের কিলোমিটার।
শাহপরীর দ্বীপে মোট তিনটি সৈকত রয়েছে। নান্দনিক সৌন্দর্যের চিরায়ত রূপ বহমান এ দ্বীপের প্রাকৃতি সৌন্দর্যের ভিতরে। তবে এ সৈকতগুলোতে নেই কোনো রকম লাইফ গার্ডের ব্যবস্থা। তাই জোয়ার-ভাটার সাংকেতিক কোন চিহ্নও থাকে না। একারণে যদি আপনি সমুদ্রে গোসল করতে চান তবে সৈকতে নামার আগে থেকেই নিজ দায়িত্বে জোয়ার-ভাটা সম্পর্কে জেনে নিন। কোনো অবস্থাতেই ভাটার সময় সমুদ্রে নামবেন না।
শাহপরীর দ্বীপের নামকরণ নিয়েও রয়েছে ঐতিহাসিক বর্ণনা। কারো মতে সম্রাট শাহ্ সুজা তার স্ত্রী পরিবানুকে নিয়ে কোন এক সময় এখানে এসেছিলেন। এরপর শাহ্ সুজা আর পরিবানুর নাম মিলিয়ে নামকরণ করা হয় শাহপরীর দ্বীপ। আরো একটি কারণ শুনা যায়। এতে বলা হয় যে, কবি সা’বারিদ খাঁ’র ‘হানিফা ও কয়রাপরী’ কাব্য গ্রন্থের অন্যতম চরিত্র ‘শাহপরী’র নাম অনুসারে এই দ্বীপের নামকরণ করা হয়। কবি সা’বারিদ ছিলেন অষ্টাদশ শতাব্দির কবি।
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সরাসরি টেকনাফে যেতে পারেন বা প্রথমে কক্সবাজার গিয়ে সেখান থেকে টেকনাফ যেতে পারেন। কক্সবাজার থেকে আন্ত:জেলা বাস টার্মিনাল থেকে টেকনাফে বাস যায়।আর মাইক্রোবাসগুলো ছাড়ে শহরের কলাতলী এবং টেকনাফ বাইপাস মোড় থেকে। টেকনাফ শহর থেকে জীপে বা সিএনজিতে চড়ে আপনি খুব সহজেই শাহপরীর দ্বীপে পৌঁছুতে পারবেন।
কোথায় থাকবেন
টেকনাফে থাকার জন্য বিভিন্ন ধরনের হোটেল রয়েছে। আপনি নিজের পছন্দ মতো হোটেল বেছে নিতে পারেন। এছাড়া আপনি চাইলে শাহপরীর দ্বীপে তাবু টানিয়ে থাকতে পারেন।