শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ছুটি কাটান সমুদ্রে
Tweet
সামনে ঈদ। ঈদের লম্বা ছুটি। এরকম ছুটিতে অত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে বেড়ানোর পাশাপাশি অনেকেরই পরিকল্পনা থাকে দেশের মধ্যে এমনি দেশের বাইরেও ঘুরতে যাওয়ার। প্রতিবছর এরকম ছুটিতে দেশের মধ্যে বিভিন্ন পর্যটনগন্তব্যগুলোতে থাকে উপচে পরা ভিড়। নিজের সন্তান ও পরিবারের সাথে সময় কাটানোর জন্য টানা ছুটি একটা বিরাট সুযোগ। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, সন্তানের সাথে পিতা-মাতার ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে একসাথে সময় কাটানো খুবই জরুরী। নিজের সন্তানকে সময় দেওয়ার জন্য মাঝে মাঝে ঘুরতে নিয়ে যেতে পারেন সমুদ্র দেখতে। সমুদ্র ভ্রমণে গেলে বাচ্চারা মানসিক ও শারীরিকভাবে সুগঠিত হয়। শুধু তাই নয় বাচ্চাদের ত্বকের যে কোনও অ্যালার্জি, ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা কমাতে সমুদ্রের পানি আদর্শ।
সূর্য
বেশির ভাগ বাচ্চারাই এখন ট্যাব, ভিডিও গেমের মধ্যে প্রতি দিনের আনন্দ খুঁজে নেয়। বাইরে খেলার অভ্যাস কমে যাওয়ায় সূর্যের আলো, খোলা হাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় তারা। ফলে ত্বকে ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয় না। সমুদ্রে ছুটি কাটাতে গেলে সান বাথের সুযোগ পায় বাচ্চারা। যা তাদের মনাসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য জরুরি।
প্রকৃতি
শিশুরা যত তাড়াতাড়ি প্রকৃতিকে চিনতে শিখবে, ততই ওদের বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য ভাল। প্রকৃতির কাছাকাছি থাকা ওদের অনুভূতিতে আরও সক্রিয় করে তুলবে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যে শিশুদের সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই প্রকৃতির সংযোগ স্থাপিত হয়, তাদের মধ্যে বড় হয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বেছে নেওয়ার প্রবণতা বা়ড়ে।
ন্যাচারাল হিলার
সমুদ্রের পানিতে থাকা মিনারেল ও লবণ ন্যাচারাল হিলার হিসেবে কাজ করে। বাচ্চাদের যে কোনও ত্বকের অ্যালার্জি, ঠাণ্ডা লাগার সমস্যা কমাতে আদর্শ সমুদ্রের পানি। তাই সমুদ্র থেকে ফিরে আসার পর আমরা সুস্থ ও ঝরঝরে বোধ করি।
ইন্দ্রিয়
সমুদ্র আমাদের ইন্দ্রিয়কে সক্রিয় করে তোলে। ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে অনুভব করে বাচ্চারা অনেক কিছু শিখতে পারে। বালি, জল, হাওয়া, ঝিনুক সবকিছুর আলাদা স্পর্শ, আলাদা শব্দ, আলাদা গন্ধ ওদের স্নায়ু উন্নত করে। মানসিক বিকাশেও সাহায্য করে।
নতুন পৃথিবী
সমুদ্র শুধু উপভোগ করাই নয়, জলজ জীবন সম্পর্কেও এতে ওদের ধারণা তৈরি হবে। জলজ প্রাণীদের চিনতে শিখবে। আমাদের নিজস্ব জগতের বাইরেও যে জলজগত্ রয়েছে, আমরা একে অপরের সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত, বাস্তুতন্ত্র ওদের কাছে নতুন জানার জগত্ খুলে দেবে।