ধর্মভিত্তিক পর্যটনশিল্পের কথাও ভাবছে সরকার

Share on Facebook

পর্যটনশিল্পে উন্নয়নের লক্ষ্যে দেশে ধর্মভিত্তিক পর্যটন গড়ে তোলার ব্যাপারে
আশাব্যক্ত করেছেন বেসরকারি বিমান পরিচালনা ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট
মাহবুব আলী। গত রবিবার হবিগঞ্জ
সার্কিট হাউস মিলনায়তনে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শারদীয় শুভেচ্ছা অনুষ্ঠানে অ্যাডভোকেট
মাহবুব আলী প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

এই অনুষ্ঠানে বেসরকারি বিমান পরিচালনা ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট
মাহবুব আলী বলেন, ‘দেশে যে উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গোৎসবসহ বিভিন্ন ধর্মীয়
উৎসব পালন করা হয় আমরা তাকে কেন্দ্র করে পর্যটনশিল্প গড়ে তুলতে পারি। পৃথিবীর অনেক
দেশেই এভাবে উৎসব হয় না। পূজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ঐতিহ্য তুলে ধরতে পারলে বিদেশিরা এ
দেশে উৎসব দেখতে আসবে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও এ ধরনের শিল্প গড়ে উঠেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘অসাম্প্রদায়িক সমাজ
বিনির্মাণ ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। আর সাম্যতা হলো সংবিধানের
প্রতিশ্রুতি। পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ এবং অন্যের ধর্মের প্রতি সম্মান থাকতে হবে।
কিছু দুষ্কৃতকারী ধর্মের অপব্যবহার করে সুযোগ নিতে চায়। তাদের ব্যাপারে সচেতন
থাকতে হবে। সঠিকভাবে যত বেশি ধর্ম চর্চা হবে, সমাজ তত অগ্রসর হবে। একটি সমাজের অগ্রগতির মূল নিয়ামক হলো ওই দেশের
সংখ্যালঘুরা কতটা স্বাধীনতা ভোগ করে এবং নারীরা কতটুকু স্বাধীন তার ওপর নির্ভর
করে।’

শারদীয় শুভেচ্ছা
বিনিময়ের এই অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি
ছিলেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির, হবিগঞ্জ-১
আসনের এমপি শাহনেওয়াজ মিলাদ গাজী, নারী ও শিশু
ট্রাইব্যুনালের বিচারক আ. হান্নান, সাবেক সংরক্ষিত নারী
আসনের এমপি অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, পুলিশ
সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা, সাবেক অধ্যক্ষ নিখিল ভট্টাচার্য,
জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি নলিনী কান্ত রায় নিরু ও সাধারণ
সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায়। জেলা প্রশাসন প্রতিবছর দুই ঈদে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন
করলেও এই প্রথম শারদীয় উৎসব আয়োজন করে। এতে জেলার সব সনাতন ধর্মাবলম্বীর
নেতৃস্থানীয় লোকজন ও সুধীবৃন্দ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথি
প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এটিকে জেলা প্রশাসনের একটি সৃজনশীল উদ্যোগ হিসেবে উল্লেখ
করে বলেন,
‘জেলা পর্যায়ে এ ধরনের আয়োজন কোথাও হয় বলে আমার জানা নেই। সাবেক
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দীন সর্বপ্রথম সব ধর্মীয় উৎসবে জাতীয়ভাবে এ ধরনের অনুষ্ঠান
চালু করেছিলেন।’ জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ বলেন,
‘এই আয়োজন অব্যাহত রাখা হবে।’

Leave a Reply