সবচাইতে বড় যাত্রীবাহী বিমান চালু করছে চীন
Tweet
সাম্প্রতিককালে তুরস্কে আনাগোনা বাড়ছে চীন দেশীয় পর্যটকদের। বিপুল সংখ্যক চাইনিজ
পর্যটকদের তুরস্ক ভ্রমণের কথা মাথায় রেখেই চীনের সবচাইতে বড় এয়ারলাইন্স সাউদার্ন চালু
করছে বিশ্বের সবচাইতে বড় যাত্রীবাহী বিমানের। এতে করে আরও বেশিসংখ্যক যাত্রী এখন ভ্রমণ
করতে পারবে তুরস্কে। এছাড়াও তুরস্কের জাতীয় পতাকাবাহী টার্কিশ এয়ারলাইন্সও নিয়মিত ফ্লাইট
পরিচালনা করে আসছে চীনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ইস্তানবুল রুটে।
তুরস্ক ও চীনের মধ্যকার সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সুসম্পর্ক আগের চাইতে বৃদ্ধি পাওয়ার
ফলে দুই দেশের পর্যটকদের মাঝেও পরিমাণ বেড়েছে যাতায়াতের। তুরস্কের সংস্কৃতি ও পর্যটনবিষয়ক
মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, এই বছরের প্রথম ৮ মাসেই প্রায় ৩ লক্ষ চীনা পর্যটক ভ্রমণ
করেছে দেশটিতে। যা গতবছরের তুলনায় ১২.৬৬ শতাংশ বেশি। ভ্রমণের এই ধারা যদি চলমান থাকে তাহলে ধারনা করা হচ্ছে যে এ বছরের শেষে প্রায় ৫ লক্ষ চীনা পর্যটক তুরস্ক ভ্রমণ করবে।
বিপুল সংখ্যক এই যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য প্রতিদিন অসংখ্য ফ্লাইট চালু
করেছে চাইনিজ ও টার্কিশ এয়ারলাইন্সগুলো চীনের বিভিন্ন স্থান থেকে। গত মে মাসে সাউদার্ন
এয়ারলাইন্স মধ্য চীনের সবচাইতে বড় শহর উহান থেকে ফ্লাইট চালু করেছে ইস্তানবুলের জন্য।
উহান জনবহুল একটি শহর। এখানে প্রায় ১১মিলিয়ন মানুষ বসবাস করে। উহানের আগে সাউদার্ন
এয়ারলাইন্স ইস্তানবুলের ফ্লাইট পরিচালনা করতো বেইজিং থেকে।
বর্তমানে আরও বেশি যাত্রী পরিবহনের কথা চিন্তা করে এয়ারলাইন্সটি পরিকল্পনা করছে
সবচাইতে বড় যাত্রীবাহী বিমান A৩৮০ চালু করবার। এতে করে শুধু
ইকোনমি ক্লাস হিসেবে বিমানটি ৮৫৩ জন যাত্রীকে বহন করতে পারবে একই সাথে। এবং তিনটি ক্লাস
হিসেবে বহন করতে পারবে ৫৫৫ জন যাত্রীকে।
চীন ২০১৮ সালে টার্কি ট্যুরিজম ইয়ার পালন করতে তুরস্কের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ইভেন্টের আয়োজন করেছিলো। গতবছর প্রায় ৪ লক্ষ চাইনিজ পর্যটক ঘুরতে আসেন তুরস্কে। চাইনিজ পর্যটকের এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে এই বছরে তা ৫ লক্ষ এবং আগামী ২০২০ সালে আনুমানিক ৭.৫ লক্ষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।চাইনিজ পর্যটকরা সবচাইতে বেশি ভ্রমণ করেন তুরস্কের ক্যাপাডোকিয়া, পামুক্কালে, ইফিসাস ও ইস্তানবুলে।
তবে বিমান A৩৮০ আতাতুর্ক বিমানবন্দরে নামতে সক্ষম হচ্ছে না এখনই। কেননা বিশালাকার A৩৮০ বিমানের অবতরনের মতো উপযুক্ত ব্যবস্থা এখনো নেয়া হয়নি সেখানে। A৩৮০ বিমানটি দৈঘ্যে ৭৩ ও উচ্চতায় ২৪ মিটার। একেকটি ডানার দৈর্ঘ্য ৮০ মিটার করে। ঘন্টায় ১,১৮৫ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারা বিমান A৩৮০–এর রেঞ্জ ১৪,৮০০কিলোমিটার।