কাঁচ নির্মিত সব পর্যটন আকর্ষণ বন্ধ করা হয়েছে চীনে
Tweet
চীনে
কাঁচ দ্বারা নির্মিত রোমাঞ্চকর বেশ কিছু সেতু ও পর্যটনস্থান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আকর্ষণীয় এসব স্থানে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয়
পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তা বন্ধ করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আন্তর্জাতিক
সংবাদসংস্থা দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হাঁটার পথ, উঁচু
থেকে দৃশ্য দেখার স্থানসহ কাঁচের নির্মিত ৩২টি পর্যটনস্থান রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ
করে দেওয়া হয়েছে চীনে। এ ছাড়া হেবেই প্রদেশে দৃষ্টিনন্দন ২৪টি পর্যটনস্থান বন্ধ
রয়েছে গত বছরের মার্চ মাস থেকেই।
চীনের
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে,
দেশটির বিভিন্ন স্থানে ২ হাজার ৩০০টি কাঁচের সেতু রয়েছে। ২০১৬ সালে
হুনান প্রদেশে দুটি পাহাড়কে সংযুক্ত করা একটি কাঁচের নির্মিত সেতু যখন উদ্বোধন করা
হয়, তখন সেটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ও দীর্ঘ কাচের নির্মিত
সেতু ছিল।
হুবেই
প্রদেশে ২০১৭ সালে কাচের স্লাইডে দুর্ঘটনায় একজন পর্যটক মৃত্যুবরণ করেন।
এর আগে ২০১৬ সালে জ্যাঙজিয়াজি শহরে কাঁচের ফুটপাতে হাঁটতে গিয়ে পাথর পড়ে
আহত হন এক ব্যক্তি। ২০১৫ সালে হেনান প্রদেশের কাঁচের স্কাইওয়াক মাত্র দুই সপ্তাহের জন্য চালু হলে পর্যটকদের
অতিরিক্ত চাপে তাতে ফাটল ধরে।
চলতি
বছরের শুরুর দিকে গুয়াংজি প্রদেশে একটি গ্লাস স্লাইড থেকে পড়ে এক পর্যটক নিহত হন।
ওই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ছয়জন। বৃষ্টির কারণে পা পিছলে পড়ে ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত্যুবরণ করা ব্যক্তি পাশের রেলিং ছাড়িয়ে স্লাইড থেকে ছিটকে পড়েন। মাথায় গুরুতর
জখমের কারণে তার মৃত্যু হয়।
চীনজুড়ে
সেতুসহ কাঁচের তৈরি বাহারি নির্মাণশৈলীর স্থাপনা আছে। সম্প্রতি এসব স্থানে
দুর্ঘটনায় অন্তত দুজনের প্রাণহানি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা–সংশ্লিষ্ট কারণেই আপাতত কাঁচের তৈরি এসব স্থাপনা পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে
দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যম উইবো ব্যবহারকারী অনেকে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। কেউ কেউ
গত কয়েক বছরে প্রচুর কাঁচের সেতু নির্মাণের সমালোচনা করেছেন। তাদের মধ্যে একজনের
মন্তব্য, সত্যিই
বুঝতে পারছি না কেন এতসংখ্যক কাঁচের সেতু বানানো হলো। এটা স্রেফ টাকার অপচয়।’