ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ব্যাহত দেশীয় পর্যটন
Tweet
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে আজ দুপুর থেকে শুরু হতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রমের সময় ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে দমকা হওয়া বইতে পারে। সেসাথে হতে পারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে আটকা পড়েছে প্রায় ১২০০ পর্যটক। তবে সবাই নিরাপদেই আছেন বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর
বলছে, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের
অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয়
এলাকায় শনিবার দুপুর থেকে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ
সন্ধ্যানাগাদ পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল (সুন্দরবনের নিকট দিয়ে) অতিক্রম করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকে চার নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। যদিও মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত কার্যকর রয়েছে। এছাড়াও বৃহস্পতিবার থেকেই বন্ধ রাখা হয়েছে সাগরে সবধরনের জাহাজের চলাচল। তাই সেন্টমার্টিনগামী পর্যটকেরা কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। অন্যদিকে বছরের এই সময়টাই ট্যুরিস্টদের ঘোরাঘুরির জন্য পিক আওয়ার হবার কারনে কক্সবাজারের হোটেলগুলোতে সংকুলান হচ্ছে না জায়গার। ফলে চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল উপকূল
অতিক্রমকালে উপকূলীয় জেলাসমূহ— চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা, বরিশাল,
পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও খুলনা— এবং জেলাগুলোর
অদূরবর্তী চর ও দ্বীপে ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণসহ ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে দমকা
হাওয়া অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।