জাপানের নামহীন পুকুরকে ‘মনে’স পন্ড’ পরিচয় দিলেন ক্লদ
Tweet
জাপানের সেকি শহরের
প্রান্তে গাছগাছালিতে লুকানো ছিল পুকুরটি। মূলত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমই পরিচয়
করিয়ে দিয়েছে একে গোটা বিশ্বের সঙ্গে। স্থানীয়রা বিভিন্ন পোস্ট ও মন্তব্য করার
সুবাদে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এটি আরও বেশি।
পবিত্র বস্তুকে রক্ষণাবেক্ষণের উদ্দেশ্যে বানানো অনেক শিন্টো স্থাপনা চোখে পড়ে জাপান। মনে’স পুকুরেও এমন একটি ছোট শিন্টো রয়েছে। পাহাড়ের পাদদেশে এর অবস্থান হওয়ায় উপত্যকার চমৎকার দৃশ্য উপভোগ করা যায়। ফুটে থাকা লিলি ফুল ও স্বচ্ছ জলে সাঁতার কেটে বেড়ানো রঙিন কই মাছ পুকুরটিকে দর্শনীয় করে রাখে। ফুল ছুঁয়ে মাছের সাঁতার কাটার দৃশ্য দেখতে মনোরম।
পুকুরটি দেখতে নয়নাভিরাম
হলেও তার জগতখ্যাত হবার কারণ ফরাসি ইম্প্রেশনিস্ট চিত্রকর ক্লদ মনে। তার আঁকা বিভিন্ন
ঝলমলে চিত্রকর্মের সঙ্গে অনেক সাদৃশ্য রয়েছে পুকুরের। সেজন্যই পুকুরটির নাম মনে’স পন্ড। এর আগে কোনও
নাম-পরিচয় ছিল না!
মজার বিষয় হলো, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে
চমৎকার পুকুরটি খনন করা হয়নি। প্রাথমিকভাবে ধান ক্ষেতে সেচ দেওয়াই ছিল এর লক্ষ্য।
নব্বই দশকে এটি এমন চমৎকার লাগতো না। তখন এখানে দুর্গন্ধ ও আগাছার ছড়াছড়ি থাকতো।
স্থানীয়রা এটি পরিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর পুকুরে রঙিন মাছ ও লিলি ফুল
যুক্ত করা হয়।
চোখধাঁধানো এই পুকুরটি
দেখতে চাইলে আগ্রহীরা নিজের গাড়ি ছাড়া পুকুরটির হদিস পাবেন না! কারণ এর অস্তিত্ব
সম্পর্কে খুব একটা জানা নেই অনেকেরই। মূলত এ কারণেই কারও নজরে আসেনি পুকুরটি। তবে
এখন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক দর্শনার্থীর উপস্থিতি থাকে এখানে। মনের মতো ছবি তুলে আর
পুকুরের সৌন্দর্য্য উপভোগ করে সময় কাটে তাদের সেখানে।