সুপরিকল্পিত নীতিমালা ও পরিসংখ্যানের অভাব দেশীয় পর্যটন খাতে
Tweet
আইসিইউতে আছে দেশের সম্ভাবনাময় পর্যটন খাত। প্রায় অর্ধযুগ পরে এসেও বদলায়নি এর ভাগ্য। আলোচনা, সভা সেমিনার আর পরিকল্পনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ এর উন্নয়ন। কর্মকর্তাদের অদক্ষতা, উদাসীনতা আর দোষারোপের যাঁতাকলে পিঁষে সম্ভাবনার এই শিল্প এখনো বেঁচে আছে কোনোমতে। নেই কোনো আইন, নেই কোনো পরিসংখ্যান। নীতিমালা থাকলেও নেই তার কার্যকারিতাও। পর্যটন খাতের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীরা ভুগছে সুপরিকল্পিত একটি নীতিমালার অভাবে। একই সাথে এগোচ্ছে না দেশের পর্যটন খাত। তাছাড়া চাইলেও পরিকল্পনা করাও যাচ্ছে না পর্যটকদের আগমন ও বিদেশ গমনের সঠিক পরিসংখ্যান না থাকার কারনে। তাই দ্রুত পর্যটন খাত নিয়ে গাইডলাইন প্রস্তুত করা জরুরি বলে মন্তব্য সংশ্লিষ্টদের। গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় এসব কথা বলেন পর্যটন খাতের ব্যবসায়ীরা।
ট্যুর অপারেটরস
অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) উপদেষ্টা মাসুদ হোসেন বলেন, “দেশে পর্যটন খাতের
জন্য কোনও গাইডলাইন নেই। বাংলাদেশের পর্যটনকে তুলে ধরতে ‘বিউটিফুল
বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হলেও নেই এর কোন প্রচারণা।”
টোয়াব সভাপতি তৌফিক
উদ্দিন আহমেদ মনে করেন, দেশ থেকে বিদেশে টাকা পাঠানোর জন্য সহজ কোন সমাধান নেই। বিদেশে অসংখ্য
পর্যটক বেড়াতে যান, এর মাধ্যমে লাখ লাখ ডলার দেশ থেকে চলে
যাচ্ছে। বৈধ কোনও পথ না থাকায় টাকা স্থানান্তর হলেও সরকার পাচ্ছে না কোন রাজস্ব। এসব
সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন বলে অভিমত দেন তিনি।
প্যাসিফিক এশিয়া
ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (পাটা) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান শাহিদ হামিদের
পরামর্শ, পর্যটনের
বিকাশে সবচেয়ে বেশি জরুরি সঠিক পরিকল্পনা। পরিকল্পনা না থাকলে এই খাতে সফলতা আসবে
না। এজন্য তথ্য ও পরিসংখ্যান প্রয়োজন। কিন্তু দেশে পর্যটন খাত নিয়ে সঠিক কোনও
পরিসংখ্যান নেই। এ খাতে যারা কাজ করছেন তাদেরকে উৎসাহ দিতে কোনও পদক বা রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতিও
নেই।’
ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ট্রিয়াব) সভাপতি খবির
উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশের পর্যটন খাতকে এগিয়ে নিতে চাইলে সব ব্যবসায়ীকে একত্রিত হতে
হবে।