এয়ারএশিয়ার ফ্লাইটের খাবার এখন রেস্তোরাঁতেও

Share on Facebook

বিমান আকাশপথে থাকার সময়ে যেসব খাবার পরিবেশন করা হয় সেগুলোর মান ও স্বাদ নিয়ে বেশিরভাগ সময়ই হতাশা দেখা দেয় ভ্রমণকারীদের মধ্যে। তবে এই চিত্রটা বদলে দিতে চায় এয়ারএশিয়া। নিজেদের ফ্লাইটে মুখরোচক খাবার নিশ্চিত করা হয় বলেই দাবি করেন তারা।

তবে এয়ারএশিয়ার টিকিট না কেটেও এসব সুস্বাদু খাবার উপভোগ করা যাবে এখন থেকে। গত ২
ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ‘সানটান’ নামের একটি রেস্তোরাঁ চালু করেছে দেশটির এই
বাজেট এয়ারলাইন্স। এয়ারএশিয়ার ফ্লাইটে যেসব খাবার থাকে, তার
সবই মিলবে এখানে।

মালয় শব্দ ‘সানটান’-এর অর্থ নারিকেলের দুধ। মালয়েশিয়ার হরেক রকম পদের মূল উপকরণ এটি। এয়ারএশিয়ার
ফ্লাইটে ও রেস্তোরাঁয় পাওয়া যাচ্ছে নাসি লামাক, সাতে
স্কুয়ারস ও বিফ রেনডাঙ। এছাড়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চাইনিজ-মালয়েশিয়ান ঢঙের চিকেন রাইস,
ফিলিপাইনের চিকেন ইনাসাল ও ভিয়েতনামিজ ফোও উল্লেখযোগ্য খাবার।

এয়ারএশিয়ার মূল হাব
কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বিশ্বের ২৫টি হাব থেকে ১৪০টি গন্তব্যে
যাত্রীসেবা দিচ্ছে এটি। বাংলাদেশ থেকেও বিশ্বের বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রীসেবা দিয়ে
থাকে মালয়েশিয়ার এই বিমান সংস্থাটি।

সানটান রেস্তোরাঁ-

যেসব দেশে এয়ারএশিয়ার কার্যক্রম রয়েছে,
মেন্যু ও খাবারের উপকরণে কফি থেকে শুরু করে চা, মসলাসহ সবকিছুতেই সেগুলোর প্রতিফলন পাওয়া যায়। ভোজনরসিকরা ব্যক্তিগতভাবে
রেস্তোঁরায় এসে কিংবা অনলাইনে অর্ডার দিয়ে খাবারগুলো পেতে পারেন।

পাঁচজন শেফ ও রন্ধন
বিষয়ক শিক্ষার্থীদের একটি দল এয়ারএশিয়ার মেন্যু সাজিয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই
ফ্লাইটের চেয়ে রেস্তোরাঁয় খাবারের পরিমাণ বেশি। কারণ উড়োজাহাজে জায়গার সীমাবদ্ধতা
রয়েছে।

রেস্তোরাঁটির মহাব্যবস্থাপক ক্যাথরিন গোহ বলেন, ‘ফ্লাইটের মেন্যু রেস্তোরাঁয় আনতে পেরে আমরা গর্বিত। এসব খাবার সবার নাগালের মধ্যে। এবং এর মাধ্যমে তৈরি হয়েছে নতুন কর্মসংস্থান।’

দেশের সীমানা পেরিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে সানটানের মতো রেস্তোরাঁ খুলতে আশাবাদী এয়ারএশিয়া .

Leave a Reply