করতোয়ার তীরে গড়ে উঠছে সোনার বাংলা পার্ক
Tweet
গতকাল (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে
আনুষ্ঠানিকভাবে পার্কের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য
মজাহারুল হক প্রধান। এ সময় ছিলেন জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান
আমিরুল ইসলাম, পৌর মেয়র তৌহিদুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন
সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, বাঁধ থেকে নদীর পাড়
পর্যন্ত ২০০ মিটার জায়গায় তৈরি হবে পার্কটি। এতে থাকবে ছাতাসহ ৪টি চেয়ার, ১০টি বসার বেঞ্চ, ২টি পাবলিক টয়লেট, ২টি ফটক, ২টি হ্যান্ড টিউবওয়েল, ৬টি খেলনা রাইডসহ সৌন্দর্যবর্ধক গাছ ও ফুলের বাগান। এছাড়া বাঁধের চারপাশ
সাজানো হবে।
৬৪ জেলায় ছোট নদী, খাল ও জলাশয় খনন প্রকল্পের
আওতায় প্রায় ২৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা ব্যয়ে সোনার বাংলা পার্ক নির্মাণ প্রকল্প
বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এটি তৈরির দায়িত্বে আছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান
টাঙ্গাইলের মেসার্স গুডম্যান এন্টারপ্রাইজ।

স্থানীয়দের মন্তব্য-
পঞ্চগড়ে সাধারণ মানুষের বিশ্রাম,
হাঁটাচলা ও চিত্তবিনোদনের জন্য কোনও পার্ক নেই। শিশুদের খেলাধুলার
সুযোগ নেই। এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে একটি পার্ক স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছিল। এরই
ধারাবাহিকতায় করতোয়া নদীকে ঘিরে পার্ক স্থাপনের প্রস্তাব তোলে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এরপর জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন জায়গা নির্ধারণ করে পরিকল্পনা হাতে নেন।
করতোয়া নদীর বাঁধ দখল
করে প্রায় ৯৬টি পরিবার দীর্ঘদিন বসবাস করে আসছে। তাদের বেশিরভাগই দরিদ্র ও
দিনমজুর। নিজেদের ভূমিহীন দাবি করেন তারা। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অচিরেই তাদের
জমি ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড
জানিয়েছে, আগামী
২৩ ডিসেম্বর একযোগে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তবে বাঁধে বসবাসকারীদের জন্য
জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদ উদ্যোগ নেবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।