সিকিমের সেরা ৫
Tweet
বাংলাদেশিদের জন্য
উন্মুক্ত হয়েছে সিকিম। আর সিকিম ভ্রমণের উপযুক্ত সময়ও যে এখনই। প্রতিদিনই তাই
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্দা ইমিগ্রেশনে ভিড় করছেন হাজারো পর্যটক। তবে সিকিম ভ্রমণের জন্য
নতুন নিয়ম যুক্ত করা হয়েছে কিছু। আগে পর্যটকরা যেদিন যেখানে যাবেন, সেদিনই সেই
জায়গার নেয়া যেত পারমিশন। এখন আর সেটা হয় না। পারমিশন নিতে হয় একদিন আগেই।
ভারতের
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য সিক্কিম বা সিকিমের রাজধানী গ্যাংটক। আয়তনে ভারতের
দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম প্রদেশ এটি। সিকিম বেড়াতে গেলে অবশ্যই ঘুরে দেখতে হয় যে পাঁচটি
দর্শনীয় স্থান, সেগুলো হলো-
তিব্বতি সংস্কৃতি
পূর্ব হিমালয়ের মাঝে অবস্থিত হিল স্টেশন, সিকিমের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। আপনি এখান থেকে দেখতে পাবেন বিশাল কাঞ্চনজঙ্ঘা। তিব্বতি সংস্কৃতির অন্যতম এক দারুণ জায়গা এই সিকিম। বিকেলে কোন ক্যাফেতে বসে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে সময় কাটাতে পারেন, গরমাগরম মোমো ও থুকপা খেতে খেতে।
তিব্বতি মনাস্ট্রি
তিব্বতি সংস্কৃতি বা তাঁদের জীবনশৈলী জানার জন্য মনাস্ট্রি যাবেন। এখানে রয়েছে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মনাস্ট্রি। রুমটেক, সুক লা খাং ও পেমাযাংসে। যেখানে দেখা যাবে বৌদ্ধ শিল্পকলা। নামগ্যাল ইনস্টিটিউট অব তিবেতলোজিতে গেলে এখানকার স্থানীয় সংস্কৃতির বিষয়ে অনেক কিছুই জানতে পারবেন আপনি।
সমগো বা চাঙ্গু লেক
অনেক উচ্চতায় (নাথুলা পাসের ভীষণ কাছে) চাঙ্কু লেক। লেকের মনোরম দৃশ্য, পরিষ্কার নীল পানি, বরফে ঢাকা পাহাড় এবং কনকনে ঠান্ডা বাতাস। ঘুরতে পারেন ইয়াকের পিঠে বসেও। এই লেক গ্যাংটক থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে।
নাথুলা পাস
চাঙ্কু লেক যাবেনই যখন, তখন আর একটু গিয়ে নিশ্চয়ই দেখে আসবেন নাথুলা পাসও। এর উচ্চতা ১৪,১৫০ ফুট। যা প্রাচীন সিল্ক রুটের অংশ ছিল। এর একদম কাছেই হলো ভারত-চীন সীমানা।
বসন্তের ইয়ুমথাং ফুলের উপত্যকা
শীতে নয়, বসন্তে রাঙা হয় ইয়ুমথাং উপত্যকা। স্থানীয়রা একে বলে ফুলের উপত্যকা। এখানে গেলে আপনি এখানকার জাতীয় ফুল- রডদেন্দ্রন ফুল ফুটতে দেখবেন। এখানেই রয়েছে শিন্গ্বা রডদেন্দ্রন স্যান্গ্চুরি। ৪০ প্রজাতির ফুলের দেখা পাবেন আপনি এখানে।