২০২০ সালে ঘুরবার সেরা ১০ জায়গা
Tweet
প্রযুক্তির
ক্ষেত্রে বিশ্ব হাতের মুঠোয় এলেও ঘুরবার জন্য পর্যটকদের কাছে বড় হচ্ছে পৃথিবী।
প্রতিটি ভ্রমণকারীর ইচ্ছের তালিকাই ক্রমাগত বড় হয় কেবল। তাই ঘুরতে যাওয়ার সময়ে
গন্তব্য নির্ধারণ করা হয়ে ওঠে কঠিন এক কাজ। পর্যটকদেরকে সাহায্য করতে বিশ্ববিখ্যাত
ম্যাগাজিন ফোর্বস তাই প্রকাশ করেছে ২০২০ সালে ঘুরবার মতো সেরা ১০টি গন্তব্যস্থানের
তালিকা। সেই তালিকা নিয়েই থাকছে পর্যটনিয়ার আজকের আয়োজন-
১. আর্কটিক-
পৃথিবীর কোণায় কোণায় ঘুরতে যাওয়ার মাত্রা অনেক বেশিই বেড়েছে আগের যুগের তুলনায়। বিশ্বখ্যাত এডভেঞ্চার-কেন্দ্রিক সংস্থা জিওএক্সের মার্কেটিং বিভাগের পরিচালক ওয়েন মিনকফ বলেন, ২০২০ সালের জন্য আর্কটিক ভ্রমণ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটকদের মাঝে। এখানে আপনি বরফের স্তুপের মাঝে দেখতে পাবেন বিশাল তিমি ও সিন্ধুঘোটক। কায়াকিংও করতে পারবেন বরফের নদীতে। সেখানে হেলিকপ্টারে করে উপরে থেকে দেখা যায় হিমবাহ। এছাড়াও সুযোগ মেলে বল্গাহরিণ আর আর্কটিক শিয়াল দেখবার।
২. ব্রাজিল-
ভিসা পাবার জটিলতা তুলে
নেবার ফলে ব্রাজিলের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে এখন পর্যটকদের মাঝে। ব্রাজিল যেন এক মহাকাব্যের
অঞ্চল। কি নেই সেখানে? বিশ্ববিখ্যাত রেইনফরেস্ট বনাঞ্চল, সমুদ্র সৈকত, জঙ্গল,
বালির টিলা আর মদের খনি। এছাড়াও আছে আগ্রহী করে তুলবার মতো সমৃদ্ধ ইতিহাস ও
সংস্কৃতি। ভিন্ন ধাঁচের খাবার আর আকর্ষনীয় স্থাপনা। ব্রাজিলের স্পটলাইট হিসেবে
পরিচিত আবেদনময়ী সালভাদর দালি শহর যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে তার দর্শনার্থীদেরকে।
৩. অস্ট্রেলিয়া-
পাঁচতারকা হোটেল ও শোভাবর্ধনকারী সাঁজের জন্য অস্ট্রেলিয়ার
অবহেলিত শহর ব্রিসবেন হয়ে উঠেছে এক নতুন আকর্ষন। বিভিন্ন দেশ থেকে সরাসরি ফ্লাইটের
ব্যবস্থা হবার ফলে এখানে ভ্রমণ করাটাও সহজ হয়েছে পর্যটকদের জন্য। লেক, সুসজ্জিত
শহর আর পাঁচতারকা হোটেলের পাশাপাশি শহরের একপ্রান্তে খোলা হাসপাতাল সেন্ট জেমসের
সুনামের কারনেও পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় উঠে এসেছে অস্ট্রেলিয়ার এই শহরের নাম।
৪. ইতালি-
সৌন্দর্য্যের আঁধার ইতালির লেক গার্ডা ও ডলমাইট
পর্বতমালার প্রতি আগ্রহ সব পর্যটকদেরই থাকে সবসময়। অন্যদিকে ২০২৬ সালের উইন্টার
অলিম্পিকের আয়োজক শহর হিসেবেও এই স্থানগুলোর প্রতি পর্যটকের আগ্রহ বেড়েছে আরও
বেশি। পর্যটকদের জন্য সবসময়ই নতুন আয়োজন রাখে ডলমাইট পর্বতমালা ও লেক গার্ডার
স্থানীয় হোটেল ও মোটেলগুলো। অলিম্পিককে সামনে রেখে পর্যটকদের জন্য সাফারি ও
স্কিয়িংয়ের ব্যবস্থাও চালু করা ২০২০ সালের মার্চ মাসে।
৫. গ্রিস-
শিল্পীদের জন্য সৃজনশীল কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত শহর
হাইড্রাতে গ্রীসের সবধরনের জীবনযাত্রাকে দেখা যায় একসাথে। কেননা সপ্তাহান্তে,
স্থানীয়দের জমজমাট আগমণ ঘটে এখানেই। মচোনোস বা সান্তোরিনি থেকে আসার সময়ে উড়ন্ত
বালু ও অচেনা যানবাহনের কোন ভীড় নেই এখানে। এছাড়াও গ্রীসের অবিশ্বাস্য রকমের আন্তরিক
আতিথেয়তার জন্য খ্যাতি থাকায়, হাইড্রা উঠে এসেছে এই তালিকায়।
৬. ইজরায়েল-
ইজরায়েলের রয়েছে এক সমৃদ্ধ আধ্যাত্মিকতার ইতিহাস ও
সংস্কৃতি। আছে দুঃসাহসিক কাজ ও উদ্ভাবনের এক বিরল সংমিশ্রণ। ফলে আগ্রহী হয়ে ওঠে সব
বয়সী, সবধরনের মানুষ। জীবনযাত্রার মানে এখানে রয়েছে বৈচিত্র্যময়তা। দর্শনার্থীরা
এখানে এসে একই সাথে অনুভূতি নিতে পারে প্রাচীন সময় ও আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের।
৭. জাপান-
বিশুদ্ধ প্রকৃতি এবং প্রচন্ড বিনয়ী ও আন্তরিক জনগণের দেশ জাপানের প্রতি দিন
দিন আকর্ষিত হচ্ছে বিশ্বপর্যটকেরা। একই সাথে অত্যাধুনিক প্রযুক্রির ও প্রকৃতির
প্রতি শ্রদ্ধার সংমিশ্রনের এই স্থানের জনপ্রিয়তা এখন বিশ্বব্যাপী। এছাড়াও আছে
ভিন্ন ধাঁচের সংস্কৃতি ও খাবারের তালিকা। ফলে সূর্য উদয়ের এই দেশের নাম উঠে এসেছে
ফোর্বসের এই তালিকাতে।
৮. মেক্সিকো–
বিলাসবহুল হোটেল, রেস্তোরা এবং নানা
ধরনের খাবারের জন্য
পশ্চিমা পর্যটকদের কাছে
মেক্সিকো খুবই জনপ্রিয় দেশ। এখানকার বিচের পাড়ের বিলাসবহুল রিসোর্ট ও পাঁচ
তারকা হোটেলগুলো অবস্থাসম্পন্ন নাগরিকদের প্রধান বিনোদনের কেন্দ্র।
৯. নিউজিল্যান্ড-
সৌন্দর্্য্যের দিক থেকে নিউজিল্যান্ডের নির্মল প্রকৃতি সবসময়ই বিখ্যাত পর্যটকদের
কাছে। এখানকার মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক দৃশ্যের সুনাম আছে প্রতিটি দর্শনার্থীর মুখে
মুখে। এছাড়াও নিউজিল্যান্ডের প্রশাসনের সাহায্যকারী মনোভাবের ফলে নিউজিল্যান্ড
ভ্রমণের জন্য আগ্রহ বেড়ে যাচ্ছে দিন দিন।
১০. পেরুভিয়ান অ্যামাজন-
পেরুভিয়ান অ্যামাজনের প্রধান আগ্রহের বিন্দু এখন
বিখ্যাত অ্যামাজন নদীতে করা ভ্রমণ। এডভেঞ্চারপ্রিয় পর্যটকদের কাছে, অ্যামাজন নদীতে
ভ্রমণ ও রেইনফরেস্টের গহীন অরন্যে প্রবেশ করা যে দূর্দান্ত এক সুযোগ।