আপনার ভ্রমণকে করে তুলুন পরিবেশ বান্ধব
Tweet
ভ্রমণকে উপভোগ করে প্রায়
প্রত্যকেই। কিন্তু কতজন বিশ্বাস করে দায়ীত্বশীল ভ্রমণে? কিংবা ক’জন অনুশীলন করে
দায়ীত্বশীল হয়ে পরিবেশ বান্ধব ভ্রমণের? প্রকৃতিকে রক্ষার জন্য পরিবেশ বান্ধব ও
কার্বন পদচিহ্ন কমানোর বাস্তবসম্মত ও যৌক্তিক পদক্ষেপ নিয়েছে ক’জন? পরিবেশ বান্ধব
দায়ীত্বশীল ভ্রমণ যে কঠিন কিছু নয়, তা প্রমাণ করেছেন অনেক আন্তর্জাতিক পর্যটক।
আমাদের বসবাস করবার এই গ্রহটিকে আবর্জনার স্তুপে পরিণত হওয়া থেকে বাঁচাতে এখনই
পদক্ষেপ নিতে হবে ব্যাক্তিপর্যায়ে থেকে। কারন এতে প্রয়োজন দীর্ঘ সময়েরও।
পরিবেশ বান্ধব ভ্রমণের জন্য বাস্তবসম্মত ও ব্যবহারযোগ্য কিছু টিপস নিম্নে দেয়া
হলো-
১. দায়িত্বশীল পর্যটক হিসেবে ভ্রমণের জন্য পরিবেশ বান্ধব
গন্তব্যগুলোকেই করা সর্বপ্রথম কাজ। একই সাথে প্রকৃতির সংরক্ষণ, এর সংরক্ষণের জন্য এবং
জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কাজ করা পর্যটক কেন্দ্রগুলোকে উৎসাহিত, প্রচার ও
সাহায্য করবার জন্য চেষ্টা চালাতে হবে। কেননা, এই জাতীয় স্থানগুলো তাদের স্থানীয়
বাস্তুতন্ত্র সঙ্গরক্ষণের জন্য কাজ করে অবিরাম। তাদের বিশাল এই প্রশংসনীয় পদক্ষেপের
ফলেই আস্তে আস্তে জনপ্রিয় ও বাস্তব হয়ে উঠেছে পরিবেশ বান্ধব পর্যটনের রূপরেখা।
স্লোভেনিয়া, পর্তুগাল, ইকুয়েডর এমনই কিছু সবুজ ও প্রাকৃতিক স্থান, যা পরিবেশ
বান্ধব ভ্রমণের জন্যও পরিচিত এখন।
২. বর্তমানে
প্লাস্টিক বর্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বিশ্বের প্রায় সবখানেই। আপনার-আমার
ব্যবহৃত একটি প্লাস্টিক ব্যাগের স্থায়ীভাবে ধ্বংস হতে সময় লাগে ৫০০ বছরেরও বেশি।
তাই প্লাস্টিক ব্যাগের পরিবর্তে ব্যবহার করুন প্রাকৃতিক ব্যাগ। সেটা হতে পারে
কাগজের, পাটের, কাপড়ের কিংবা পাতার।
৩. একজন দায়িত্বশীল পর্যটক হিসেবে আপনাকে বুঝতে হবে যে যখন
আপনি বিমানে ভ্রমণ করেন, তখন গণনা করা হয় প্রতি আউন্সকেও। বোঝা যত বাড়বে, বিমানের
কার্বন নিঃসরণের পরিমানও ততই বাড়বে। তাই শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে, পরিবেশে
কার্বনের নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করুন।
৪. গণ পরিবহনের ব্যবহার বৃদ্ধি করুন। এতে করে প্রচুর সংখ্যক পরিবহনের
ব্যবহার কমে যাবে। ফলে পরিবেশের ক্ষতিকর কার্বনের নিঃসরণও কমবে।
৫. ব্যবহার করুননিজের প্রসাধনী। কেননা, আপনি যখন
ভ্রমণে যেয়ে কোন হোতেলে অবস্থান করবেন, তারা আপনাকে কিছু টয়লেট প্রসাধনী দিবে
ব্যবহার করার জন্য, যা প্যাক করা থাকে প্লাস্টিকে। আপনার ব্যবহারের ফলে বৃদ্ধি
পাবে এর ব্যবহার। তাই পরিবেশের সংরক্ষণের জন্য সেসব ব্যবহার বর্জন করুন।
৬. কাগজের টিকেটের বদলে ই-টিকেটের ব্যবহার শুরু করুন। এতে করে
কাগজের ব্যবহার কমে আসবে এবং গাছের সংরক্ষণ বৃদ্ধি পাবে।
৭. যেখানে যে স্থানেই ভ্রমণ করুন না কেন, হোটেলগুলোকে মনে করুন
নিজের ঘরের মতোন। গোসলের সময়ে শাওয়ার কিংবা টাবের পানির অপচয়রোধ করা সহ রুম থেকে বের
হবার সময়ে লাইট, ফ্যান, টিভিও ইত্যাদির সুইচ অফ করতে ভুলবেন না।
৮. এড়িয়ে চলুন সবরকমের বোতলজাত পানি। কেননা পানি খাওয়ার পর তা
যেখানে সেখানে ফেলে দেয়ার প্রবণতা থেকেই যায় সবার।
ভ্রমণের সময়ে এসব
খুঁটিনাটি বিষয়গুলো লক্ষ রাখতে রাখতেই আপনি হয়ে উঠবেন একজন দায়িত্বশীল ও পরিবেশ
বান্ধব পর্যটক।