নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের তোলপাড়ে বিপর্যস্ত ভারতীয় পর্যটন
Tweet
সাম্প্রয়িক সময়ে ভারতে উত্থাপিত হওয়া নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) বিলের কারনে
আলোড়ন ওঠে সারাদেশে। প্রায় সবক’টি প্রধান ও বড় শহরেই আন্দোলন করে সিএএ বিরোধীরা।
যার প্রভাব পড়েছে দেশটির পর্যটন শিল্পতেও। ভারতের চলমান এই অস্থির অবস্থার কথা
চিন্তা করে নাগরিকদের বর্তমানে ভারত ভ্রমণ না করবার পরামর্শ দিচ্ছে ৭টি দেশ।
ভারতের পর্যটন কর্মকর্তারা অনুমান করেছেন যে প্রায় ২ লক্ষ দেশী ও আন্তর্জাতিক
পর্যটক তাদের তাজমহল ভ্রমণের পরিকল্পনা স্থগিত কিংবা বাতিল করেছেন কেবল ডিসেম্বরের
শেষ ২ সপ্তাহেই। যেখানে ভারতের সবচাইতে জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রই তাজমহল। তাজমহলের কাছের
একটি বিশেষ পর্যটক থানায় পর্যবেক্ষনকালে পুলিশ পরিদর্শক দীনেশ কুমার বলেন, গত
বছরের ডিসেম্বরে পর্যটকদের আগমন হ্রাস পেয়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ।
দীনেশ কুমার আরও বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যটকরা তাদের নিজেদের হোটেল রুমগুলোতে চেক ইন করবার আগেই পুলিশকে সেসব রুম পরীক্ষা করে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবার জন্য অনুরোধ করছে প্রতিনিয়তই।
তিনি আরও যোগ করেন, যদিও পুলিশ সর্বাত্মক সহায়তা সরবরাহ করে পর্যটকদের নিশ্চিত করবার প্রয়াশ চালাচ্ছে, তবুও বেশিরভাগ পর্যটকরা চলমান অস্থির সময়টাতে ভারত ভ্রমণকে এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করছে।
এছাড়াও, আন্দোলন চলাকালীন সময়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভারতের আগ্রায় বন্ধ করে দেয়া
হয় মোবাইল ইন্টারনেটের পরিষেবা। কর্তৃপক্ষের নেয়া এই পদক্ষেপের ফলেই পর্যটন
শিল্পের ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন আগ্রা পর্যটন উন্নয়ন
ফাউন্ডেশনের সভাপতি সন্দীপ অরোরা।
একইভাবে, বিভিন্ন দেশে চলমান প্রতিবাদ এবং ভ্রমণ পরামর্শের কারনে ধাক্কা
খেয়েছে আসাম পর্যটনও। ডিসেম্বর মাসে আসামে আগত পর্যটক সংখ্যা কমেছে প্রায় ৯০ শতাংশ।
ইতিমধ্যেই নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের ভারতে প্রতিবাদ ও আন্দোলন চলমান
এলাকাগুলোতে ভ্রমণ না করবার পরামর্শ দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, রাশিয়া,
ব্রিটেন, ইজরায়েল, ব্রিটেন এবং তাইওয়ান।