ভালোবাসা দিবস উদযাপনের সুবর্ণ সুযোগ জুলিয়েটের ঘরে

Share on Facebook

মার্কিন অনলাইন
বাজার ও হসপিটালিটি সেবা এয়ারবিএনবি ঘোষণা দিয়েছে, ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ নাটকে তুলে ধরা ঐতিহাসিক অট্টালিকায় এক দম্পতিকে রাতে থাকার সুযোগ দেওয়া
হবে। জুলিয়েটের বাড়ি হিসেবে এটি বিখ্যাত। জীবনে একবারই এমন সুবর্ণ সময় আসে!

‘রোমিও
অ্যান্ড জুলিয়েট’ নাটকের ভক্ত ও প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে
কাজা দি জুলিয়েত্তা এক অন্যরকম আকর্ষণ। যদিও শেক্সপিয়র কখনও তার লেখায় জুলিয়েটের
বাড়ির সঠিক অবস্থান নির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করেননি।

ষোড়শ শতকে ইতালির
ভেরোনা শহরের প্রেক্ষাপটে নাটকটি লিখেছিলেন শেক্সপিয়র। গল্পে বাড়িটির চিরচেনা
বারান্দায় দাঁড়িয়ে একে অপরের প্রতি ভালোবাসার কথা প্রথম জানিয়েছিল রোমিও আর
জুলিয়েট। তাদের অমর প্রেমের গল্প জানে তামাম দুনিয়া। 

প্রতি বছর কাজা দি জুলিয়েত্তায় জুলিয়েটকে উদ্দেশ করে লেখা হাজারও চিঠি আসে। ফলে অলাভজনক সংগঠন জুলিয়েট ক্লাবের সদস্যরা সেগুলোর উত্তর দিতে ব্যস্ত সময় কাটায়। তারা জুলিয়েটের মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত।

ত্রয়োদশ শতকে গড়ে
তোলা বাড়িটি এখন জাদুঘর হিসেবে পরিচালিত হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা এখানে
সমবেত হয়। এমন উন্মাদনা খুব কম বাড়িকে ঘিরে দেখা যায়। ভেরোনায় সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান
এটাই। বিশেষ দিবসে এর অন্দরসজ্জা করা হয়।

বর্তমান সময়ের রোমিও-জুলিয়েটকে ঐতিহাসিক ভবনটিতে রাতে থাকার সুযোগ করে দিচ্ছে এয়ারবিএনবি। প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১৯৩০ সালের পর জুলিয়েটের ঘরে প্রথমবার কোনও দম্পতি থাকতে যাচ্ছেন। মধ্যযুগীয় আবহে সাজানো শোবার ঘরটিতে আছে ‘লেত্তো দি জুলিয়েত্তা’ অর্থাৎ জুলিয়েটের বিছানা। ১৯৬৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ইতালিয়ান নির্মাতা ফ্রাঙ্কো জেফিরেল্লির ‘রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট’ ছবিতে ব্যবহৃত হয় এটি।

এয়ারবিএনবি’র মহাব্যবস্থাপক
(ইতালি) জিয়াকোমো ত্রভাতো বলেন, ‘সাহিত্যের ইতিহাসে সবচেয়ে
রোমান্টিক বাড়িতে নিজেদের ভালোবাসা উদযাপনের অদ্বিতীয় সুযোগ পাচ্ছেন এ যুগের
দম্পতি।’

অসাধারণ অফারটি পেতে আগ্রহী দম্পতিরা নিজেদের প্রেমের বিশদ গল্প নিয়ে চিঠি লিখে ব্যাখ্যা করবেন কেন জুলিয়েটের বাড়িতে থাকার জন্য তারাই যোগ্য অতিথি। এয়ারবিএনবি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার শেষ সময় আগামী ২ ফেব্রুয়ারি।

জুলিয়েটের
শোবার ঘরে থাকার পাশাপাশি ভেরোনা শহরে রোমিও-জুলিয়েট অনুপ্রাণিত ভ্রমণ ও কাজা দি
জুলিয়েত্তায় বেড়ানোর সুযোগ দেওয়া হবে ভাগ্যবান দম্পতিকে। জুলিয়েটকে পাঠানো
ভক্তদের সাম্প্রতিক কিছু চিঠি পড়ে উত্তর লিখতে পারবেন তারা। এছাড়া মিশেলিন শেফ
জিয়ানকার্লো পেরবেল্লিনির বানানো খাবার নিয়ে আয়োজিত মোমবাতির আলোয় নৈশভোজ উপভোগ
করবেন বিজয়ী যুগল। নিঃসন্দেহে এই অভিজ্ঞতা হবে অতুলনীয়।

Leave a Reply