২০২০ সালে বেড়ানোর জন্য সেরা ২০ হোটেল

Share on Facebook

রিফস্যুটস (অস্ট্রেলিয়া)
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড রাজ্যের গ্রেট ব্যারিয়ার রিফে স্কুবা ডাইভিংয়ের পাশাপাশি দেড় হাজার প্রজাতির মাছ দেখে মন না ভরলে রিফস্যুটসে ঘুমানোর মধ্য দিয়ে রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা পাওয়া যাবে। আরামদায়ক ও সম্পূর্ণ কাচের দেয়াল সমৃদ্ধ স্যুটটি ১৫ ফুট পানির নিচে অবস্থিত। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে এর যাত্রা শুরু হয়। এটাই অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম ডুবো হোটেল। পানির নিচে প্রবাল প্রাচীর আর মাছ, সূর্যরশ্মি, হাঙর, কচ্ছপসহ চোখধাঁধানো অন্য জগত দেখার অপূর্ব সুযোগ রয়েছে এতে। রুমের চারপাশে পানির আলোকসজ্জা পছন্দমাফিক রাখতে প্রতিটি স্যুটে বাতির আলো বদলানোর ব্যবস্থা রয়েছে। আছে বড়সড় বিছানা। প্রতিটি রুমের অতিথিরা হুইটসানডে আইল্যান্ডসে জাহাজে ভেসে বেড়ানো, তারার আলোয় নৈশভোজ ও গাইডসহ স্নোর্কেলিং ট্যুরের সুবিধা পাবেন।

রিফস্যুটস

হোটেল শাতো দু গ্র্যান্ড-লুসে (ফ্রান্স)
গ্রামীণ পরিবেশে অবস্থিত একটি দুর্গের মতো হোটেল শাতো দু গ্র্যান্ড-লুসে। এর আশেপাশে লেক ও গোলাপ বাগান। এখান থেকে চোখজুড়ানো সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। স্বপ্নিল অবকাশযাপনে এমন পল্লী এককথায় অতুলনীয়। দুর্গটি নির্মিত হয় ১৭৬০ সালে। লাখ লাখ ডলার ব্যয় করে সংস্কারের মাধ্যমে এর স্থাপত্যে পুরনো জাঁকজমক ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ২০১৯ সালের জুনে এটি অতিথিদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এতে রয়েছে ১৭টি রুম। হাতে আঁকা ম্যুরাল ও প্রাচীন আসবাবপত্র দিয়ে সাজানো পুরো হোটেল। প্যারিস থেকে এই গ্রামে ট্রেনে চড়ে যেতে ৫৫ মিনিট লাগে। ফলে যাতায়াত খুব একটা অসুবিধার নয়।

হোটেল শাতো দু গ্র্যান্ড-লুসে

আমান কিয়োটো (জাপান)
কিয়োটো শহর থেকে একটু বাইরে ৮০ একর ঘন জঙ্গলের ভেতর অবস্থিত হোটেলটি। আমান ব্র্যান্ডের এই হোটেলটি চালু হয় ২০১৯ সালের নভেম্বরে। চিত্তবিনোদন ও শহুরে একঘেঁয়েমি কাটানোর জন্য এটি যথার্থ। এতে রয়েছে ২৬টি স্যুট। প্রতিটিই কিছুটা রিয়োকান-অনুপ্রাণিত প্যাভিলিয়নের মতো। এখানে আশ্রমে থাকার স্বাদ মিলবে। তবে নিঃসন্দেহে বিলাসবহুল। কোমল বিছানা, কাঠের টাব ও মেঝে থেকে সিলিং পর্যন্ত জানালা। এছাড়া আছে উষ্ণ মিনারেল ওয়াটারের স্পা ও জাপানি পাঁচতারকা মানের খাবার।

আমান কিয়োটো

কাচি লজ (বলিভিয়া)
ওপর থেকে দেখলে মনে হবে কাচি লজ যেন চাঁদের মতো কোনও গোলাকার ডোম। লবণাক্ত সমতল ভূমির ওপর সাজানো হয়েছে হোটেলটি। তবে নিষ্ফলা দিক ও মহাকাশ স্টেশনের মতো আকৃতি দেখে ভুল করবেন না। ভেতরে এর প্রতিটি ডোমে দেখা যায় বোহেমিয়ান ঢঙের ইন্টেরিয়র, ঝলমলে বিছানা ও সাগরমুখো বিশাল জানালা। রাতের আকাশে নক্ষত্র দেখার বিশ্বের সেরা স্থানগুলোর মধ্যে কাচি লজ অন্যতম। শহর থেকে ৩৫ মাইল দূরে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১১ হাজার ৮০০ ফুট ওপরে হওয়ায় হোটেলটি আলোক দূষণমুক্ত।

দিনের বেলা অনেক
কিছু দেখা এবং চিত্তবিনোদনের অনেক সুযোগ আছে এখানে। অনুর্বর পথে সাইকেল চালানো ও
তুনুপা আগ্নেয়গিরির কাছে হাইকিং বেশ উপভোগ্য অতিথিদের কাছে। এছাড়া কেউ চাইলে ডোমের
ভেতর অবকাশযাপন, মহাবিশ্বতত্ত্ব নিয়ে পড়া কিংবা বলিভিয়ান ঘরোয়া রান্নার স্বাদ নিতে পারেন। চারপাশের
সৌন্দর্যের মতো এসব খাবারের জবাব নেই! এগুলো সরবরাহ করে বলিভিয়ার অন্যতম ভালো
রেস্তোরাঁ গুস্তু।

অগাস্ট

অগাস্ট (বেলজিয়াম)
ত্রয়োদশ শতকের অগাস্টিনিয়ান সম্প্রদায়ের একটি মঠ ছিল বেলজিয়ামের আন্টওয়ার্প শহরে। সেটি এখন দারুণ একটি বুটিক হোটেল। আঁকাবাকা পাঁচটি সংস্কার করা নবধ্রুপদী ভবন জুড়ে ‘অগাস্ট’। এতে রয়েছে সুদৃশ্য বাগান। হোটেলের রুমগুলো প্রাকৃতিক উপাদানে ভরপুর। হ্যান্ডওভেন কার্পেট থেকে শুরু করে আলোকসজ্জা পর্যন্ত সবকিছুতে রয়েছে শৈল্পিক ছোঁয়া। বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার মধ্যে রয়েছে পাঠাগার, আরামদায়ক হাম্মাম (স্নানঘর) ও স্মিম বাথ সমৃদ্ধ স্পা।

ইন্টারকন্টিনেন্টাল হেইম্যান আইল্যান্ড রিসোর্ট (অস্ট্রেলিয়া)
হুইটসানডে আইল্যান্ডসে ঘূর্ণিঝড় ডেবির তাণ্ডবের দুই বছর পর ১৩ কোটি ৫০ লাখ ডলার ব্যয়ে হোটেলটি রূপান্তর করা হয়েছে। এখন এটি এককথায় চোখধাঁধানো। সাগর থেকে কয়েক ধাপ দূরত্বে চকচকে এই স্থাপনায় রয়েছে সাগরমুখো আটটি ভিলা। এর মধ্যে সবচেয়ে দারুণ হলো চার হাজার বর্গফুটের বিচ হাউস। এতে রয়েছে তিনটি বেডরুম ও তিনটি পুল, যেখান থেকে প্রবাল সাগর দেখা যায়। মজার বিষয় হলো, পুলগুলো দেখে সাগরের অংশ মনে হতে পারে! রুমে পর্যাপ্ত উত্তাপ রয়েছে। তবে প্লাস্টিকের কোনও পণ্য ব্যবহার করা যায় না এখানে। অতিথিরা এলেই দেওয়া হয় সানস্ক্রিন ও কাচের বোতলে পানি।

পুরো ভিক হোটেল

পুরো ভিক হোটেল (চিলি)
চিলির মিলাহুয়ে উপত্যকায় ২০১৫ সালে অত্যাধুনিক ডিজাইনের ভিক হোটেল উদ্বোধনের পর অভূতপূর্ব জাঁকজমক ও আভিজাত্যের উদাহরণ হয়ে দাঁড়ায়। ২০১৯ সালের এপ্রিলে একই মালিকানাধীন পুরো ভিক হোটেলেও রয়েছে একই বৈশিষ্ট্য। মূল হোটেলের নিচে পাহাড়ের ভেতর রয়েছে পুরো ভিকের ১৯টি কাচের ঘর। এখানে ঘরোয়া স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে পাহাড়ি সবুজের সমারোহ উপভোগ করেন অতিথিরা। প্রকৃতিকে প্রাধান্য দেওয়া হলেও প্রতিটি ঘর চকচকে আসবাব ও শিল্পকর্ম দিয়ে যত্ন নিয়ে সাজিয়েছেন দুই মালিক অ্যালেক্স ও ক্যারি ভিক। স্বাভাবিকভাবেই হোটেলটি ব্যয়বহুল। একেকদিনের খরচ শুরু ১ হাজার ১০০ ডলার।

জাও ক্যাম্প

জাও ক্যাম্প (বোটসওয়ানা)
গ্ল্যাম্পিংয়ের বেলায় সম্ভবত বোটসওয়ানার ব-দ্বীপে অবস্থিত জাও ক্যাম্পের তুলনা নেই। এটি ১৯৯৯ সালে চালু হলেও সংস্কারের পর সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে ২০১৯ সালের গ্রীষ্মে অতিথিদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ক্যাম্পে তাঁবু আকৃতির পাঁচটি স্যুটের প্রতিটিতে রয়েছে রোদ পোহানোর দৃষ্টিনন্দন প্রশস্ত পাটাতন, বিশাল পুল ও ইনডোর-আউটডোর বাথরুম। এছাড়া পরিবার ও দলবেঁধে আসা অতিথিদের জন্য আছে অতিরিক্ত দুটি বাগানবাড়ি। এক্ষেত্রে যানবাহন, গাইড, শেফ ও পরিচারকদের তত্ত্বাবধায়ক সঙ্গে করে নিয়ে যেতে হবে। এর স্থাপত্যশৈলী মনোমুগ্ধকর। জানালাগুলো ছাদ থেকে পুরোপুরি মেঝে পর্যন্ত বিস্তৃত। সুইমিং পুলের পাশে পাখির খাঁচার মতো দর্শনীয় শামিয়ানা ঝোলানো। এর সুবাদে অতিথিরা নিরবচ্ছিন্নভাবে বুনো পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন।

নবু হোটেল লস কাবোস

নবু হোটেল লস কাবোস (মেক্সিকো)
সারাবিশ্বে নবু হোটেলের ১২টি শাখা রয়েছে। বিশেষ ব্র্যান্ডের হোটেলটির মালিক হলিউড অভিনেতা রবার্ট ডি নিরো ও বিখ্যাত শেফ নবু মাতসুহিসা। লাতিন আমেরিকায় এর প্রথম শাখা নবু হোটেল লস কাবোস। সেখানকার অন্য হোটেলগুলোর মতো এটি বিশাল আকারের নয়। বরং মরুভূমির সৌন্দর্যের আবহে জাপানি সংস্কৃতির মিশেলে সাজানো এই হোটেল। এর সামনে বিস্তৃত সমুদ্র সৈকত। এখানে সূর্যাস্ত বেশ উপভোগ্য। এতে আছে ১৩ হাজার ৭০০ বর্গফুটের স্পা ও দারুণ ডাইনিং পরিবেশ। এর রুম ভাড়া ৩৫০ ডলার থেকে শুরু।

গর্জিয়াস জর্জ হোটেল

গর্জিয়াস জর্জ হোটেল (দক্ষিণ আফ্রিকা)
নামের সঙ্গে সমার্থক কেপটাউন শহরের হোটেলটি ডিজাইনপ্রেমীদের জন্য স্বপ্নের মতো। ঊনিশ শতকে যুক্তরাজ্যে প্রচলিত এডওয়ার্ডিয়ান স্থাপত্য ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়কার ফরাসি আর্ট ডেকোর মিশেলের সঙ্গে শিল্পায়ন ও মধ্য শতকের আবহে সাজানো হয়েছে এটি। এর ৩২টি রুমের প্রতিটিই আলাদাভাবে আড়ম্বরপূর্ণ আসবাব ও রঙিন গালিচা দিয়ে ডেকোরেশন করা। এছাড়া আছে বড় আকারের টবে বেড়ে ওঠা গাছ। ফলে হোটেল কক্ষের চেয়ে দারুণ শিল্পবান্ধব চিলেকোঠা মনে হয় রুম। ছাদে রয়েছে পাম গাছের পাতা দিয়ে আচ্ছাদিত সুদৃশ্য একটি পুল এবং মুখরোচক খাবার সমৃদ্ধ চমৎকার একটি রেস্তোরাঁ।

ইজলাস সেকাস রিসোর্ট

ইজলাস সেকাস রিসোর্ট (পানামা)
ব্যক্তিগত দ্বীপ যদি বিশেষ মনে হয়, তাহলে ব্যক্তিগত দ্বীপমালার ক্ষেত্রে কেমন লাগবে! পানামার প্রাণকেন্দ্র থেকে ৩৩ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে স্বপ্নিল ১৪টি দ্বীপের সমষ্টি ইজলাস সেকাসে এটাই একমাত্র হোটেল। অতিথিদের জন্য অতুলনীয় গোপনীয়তা ও শান্ত পরিবেশের অপরূপ সমন্বয় এটি। এতে মাত্র চারটি ঘর আছে। আগামী মার্চে আরও তিনটি যুক্ত হবে। জুরাসিক পার্কের মতো সবুজের সমারোহ উপভোগ করা যায় এখানে। বিলাসবহুল হোটেলটির প্রতিটি ঘরে আছে সাগরমুখো একটি করে দৃষ্টিনন্দন পুল। এটি আলোকিত হয় সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে। পানি রিসাইকেলের ব্যবস্থাও আছে। অতিথিরা স্নোর্কেলিং, স্কুবা ডাইভিং, কায়াকিং ও তিমি দর্শনের মতো দারুণ সুবিধা উপভোগ করতে পারেন। কেউ চাইলে দ্বীপপুঞ্জের সৈকত দেখেই সময় কেটে যেতে পারে ঢের!

মামা শেল্টার লন্ডন

মামা শেল্টার লন্ডন (ইংল্যান্ড)
ব্র্যান্ডটি দ্রুতই একটি সম্রাজ্যে পরিণত হতে যাচ্ছে। গত বছর এর তিনটি শাখা চালু হয়েছে। এ বছর যাত্রা শুরু করবে আরও দুটি। অন্যগুলোর মতো মামা শেল্টার লন্ডন একটু অন্যরকম। পূর্ব লন্ডনের পরিপাটি লোকেশনের জন্য হোটেলটি দারুণ। এতে রয়েছে জাপানি ঢঙের কারাওকে রুম। প্রথম এক ঘণ্টা অতিথিদের বিনামূল্যে থাকতে দেওয়া হয় এখানে। রুমগুলো তুলনামূলক ছোট। গড়ে একেকটি ২০০ বর্গফুট। তবে বিছানাগুলো বেশ আরামদায়ক। ঘরের ভেতরের নকশা অভূতপূর্ব। এখানকার অসাধারণ মাছ ও চিপস একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করে!

নায়ারা টেন্টেড ক্যাম্প

নায়ারা টেন্টেড ক্যাম্প (কোস্টারিকা)
কোস্টারিকায় অ্যারেনাল আগ্নেয়গিরির কাছে স্নিগ্ধ অরণ্যের পাশে অবস্থিত বিলাসবহুল নায়ারা টেন্টেড ক্যাম্প। শুধু লোকেশনের জন্যই এখানে ভ্রমণ করা যায়। ক্যাম্প থেকে কয়েক মিনিটের দূরত্বে অতিথিরা উপভোগ করেন উষ্ণ জলের ঝরনা, স্বচ্ছ পানিতে ভেলায় চড়া, অসংখ্য হাইকিং ট্রেইল ও ঘোড়ার পিঠে চড়ার সুযোগ। অলস সময় কাটানোর মতো ১৫টিরও বেশি কক্ষ রয়েছে নায়ারার। এখানে মোট ২৯টি তাঁবু। প্রতিটিতে প্রাকৃতিক উষ্ণ জলসমৃদ্ধ বড় আকারের পুল ও আরামদায়ক ইনডোর-আউটডোর বাথরুম তো আছেই, এছাড়া আগ্নেয়গিরির অন্যরকম সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।

রোজউড ব্যাংকক

রোজউড ব্যাংকক (থাইল্যান্ড)
পাঁচতারকা হোটেলটির স্থাপত্য অসাধারণ। মনে হয় যেন আলাদা দুটি পাতলা গড়নের স্থাপনা পাশাপাশি দাঁড়ানো। তাদের মধ্যে সংযোগ ঘটিয়েছে কাচ। দেখতে অনেকটা থাই নাগরিকদের হাতজোড়া করে শুভেচ্ছা জানানোর অবস্থা! ১০ তলা উঁচু ঝরনার সুবাদে ভেতরের অবয়ব আকর্ষণীয়। এছাড়া আছে বেশ কয়েকজন থাই শিল্পীর মূল সৃষ্টিকর্ম। অন্যান্য হোটেলের চেয়ে রোজউডের অন্যান্য শাখার মতোই এখানকার রুম তুলনামূলক একটু উঁচু। আসবাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাঠ ও বেতের টেবিল-চেয়ার। তার ওপরে তাজা ফুল ও বই সাজানো। ফলে মনে হবে শহরে থেকেও হারিয়ে গেছেন অনেকদূরে!

দ্য স্ট্যান্ডার্ড

দ্য স্ট্যান্ডার্ড (মালদ্বীপ)
নিউ ইয়র্ক ও লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো শহুরে জায়গার পর হুরুভালি দ্বীপের সাদা বালিতে চালু হয়েছে দ্য স্ট্যান্ডার্ড। এতে রয়েছে ১১৫টি ভিলা। বেশিরভাগই সাগর জলের ওপরে। মালদ্বীপের রোমান্টিক হানিমুনের আবহ থাকা অন্য রিসোর্টগুলোর চেয়ে এটি অনন্য। বাথরুমে ডিস্কো বল থেকে শুরু করে পুলে নিয়ন-গোলাপি খেলনাসহ এখানকার সাজসজ্জা গতানুগতিকর নয় মোটেও। বিভিন্ন সুবিধার মধ্যে রয়েছে রাতে সৈকতে অগ্ন্যুৎসব, বাদ্যযন্ত্র সংগীত, কারাওকে এবং সূর্যোদয় অবধি খোলা থাকা কাচের মেঝের ওপর নাইটক্লাব। ফলে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়ানোর জন্য জুতসই।

এক্যুইনক্স হোটেল হাডসন ইয়ার্ডস

এক্যুইনক্স হোটেল হাডসন ইয়ার্ডস (যুক্তরাষ্ট্র)
আমেরিকার ফিটনেস প্রতিষ্ঠান এক্যুইনক্স নিউইয়র্ক সিটিতে গড়ে তুলেছে এই হোটেল। এটি যেন অতিথিদের কল্পনার বাস্তবায়ন! এতে ৬০ হাজার বর্গফুট এলাকা জুড়ে আছে শরীরচর্চা কেন্দ্র। এখানকার সুবিধাগুলো হলো ক্রিওথেরাপি চেম্বার, ভিটামিন সংযুক্ত আইভি ড্রিপস ও স্লিপ কোচ। ফিটনেসে আগ্রহ না থাকলেও হোটেলটি পছন্দ হতে পারে অতিথিদের। রুমগুলোর আলো ও তাপমাত্রায় এমনভাবে ভারসাম্য বজায় রাখা হয় যেন বিশ্রাম ও আরামের জন্য জুতসই থাকে। বিছানায় আছে স্প্রিংমুক্ত অর্গানিক ফাইবার তোশক। এছাড়া ছাদে রুফটপ পুল ও বার থেকে নিউইয়র্ক সিটির চোখধাঁধানো সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। হোটেলের কাছেই হাডসন ইয়ার্ডসে বেড়ালেও দারুণ সময় কাটবে।

সিক্স সেনসেস শাহেরুট

সিক্স সেনসেস শাহেরুট (ইসরায়েল)
ইসরায়েলের এবড়োথেবড়ো মরুভূমি নেগেভ ডেজার্টের একটি পর্বতগাত্রের ওপর গড়ে তোলা হয়ে সিক্স সেনসেস শাহেরুট হোটেল। আগামী বসন্তে চালু হবে এটি। আশা করা হচ্ছে, রোমাঞ্চপ্রিয় ভ্রমণকারীরা এখানকার আতিথেয়তা উপভোগ করবেন। উটে চড়া থেকে শুরু করে নেগেভ পর্বতের চূড়ায় পৃথিবীর বৃহত্তম গর্ত মখতেশ রামনে দড়ি বেয়ে ওঠানামার মতো রোমাঞ্চকর সব চিত্তবিনোদনের সুবিধা মিলবে এখানে। বেলেপাথরের ভিলায় ঘুরে আসার সুযোগ তো থাকছেই। এছাড়া হোটেলটির বাইরের পুল থেকে মরুভূমির শুষ্ক পটভূমিতে সূর্যাস্ত উপভোগ করা যাবে।

দ্য ফ্যানটুইজো

দ্য ফ্যানটুইজো (অস্ট্রেলিয়া)
ব্রিসবেনে গত দুই বছরে একগাদা হোটেল চালু হয়েছে। এরই একটি দ্য ফ্যানটুইজো। চমৎকার, ঝলমলে ও জ্যামিতিক প্রাচীরের বুটিক হোটেলটি হাওয়ার্ড স্ট্রিট হোয়ার্ভসের পাশেই অবস্থিত। রুমগুলো কাঠ, পাথর, চামড়া ও চিত্রশিল্পী ভিনসেন্ট ফ্যানটুইজোর আঁকা ছবি দিয়ে সাজানো। মূলত তার নামেই হোটেলটির নাম রাখা হয়েছে। শহরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় রেস্তোরাঁ ও বার কাছেই। এখানে থাকার বিশেষ আকর্ষণ হলো চারপাশের সৌন্দর্য। রুফটপ পুল, রেস্তোরাঁ কিংবা রুম থেকেই চোখধাঁধানো ব্রিসবেন নদী, স্টোরি ব্রিজ ও দিগন্তজোড়া আকাশ উপভোগ করতে পারেন অতিথিরা।

অ্যান্ড বিয়ন্ড সসাসফ্লেই ডেজার্ট লজ

অ্যান্ড বিয়ন্ড সসাসফ্লেই ডেজার্ট লজ (নামিবিয়া)
দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নামিবিয়ায় প্রায় ৩০ লাখ ডলার খরচ করে আগাগোড়া সংস্কারের পর গত বছরের অক্টোবরে আবারও চালু করা হয় পাঁচতারকা হোটেলটি। স্নিগ্ধ নকশার এই স্থাপনা মরুভূমির মতোই বেশ বিলাসবহুল। এতে আছে ১০টি স্যুট। প্রতিটির আয়তন ১ হাজার ৪০০ বর্গফুট। হোটেলটির যেকোনও কোণ থেকেই মরুভূমির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। আড্ডাস্থলে অগ্নিকুণ্ড,সুদৃশ্য পুলসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বেশ ভালো। সৌরবিদ্যুৎচালিত ফ্রিজে রয়েছে আইসক্রিম ও নামিবিয়ার স্থানীয় বিয়ার। প্রাণী ছাড়াও হোটেলটির আশেপাশে গুহা ও লবণাক্ত ভূমি ডেডফ্লেইয়ের ল্যান্ডস্কেপসহ অনেক কিছু দেখার আছে।

সান্তা মনিকা প্রপার হোটেল

সান্তা মনিকা প্রপার হোটেল (যুক্তরাষ্ট্র)
গত বছরের জুনে লস অ্যাঞ্জেলেসে চালু হয় হোটেলটি। এটি যেন ক্যালিফোর্নিয়ার প্রতিমূর্তি। এর ভেতরে টবে অনেক পাম গাছ দেখা যায়। এছাড়া আছে রোদের আলোয় আরামে বসার জায়গা। রুফটপ পুল এককথায় দর্শনীয়। ঘরগুলো মধ্য শতাব্দীর রুচিসম্মত আসবাবে সাজানো। বেশিরভাগ কক্ষের বড়সগ বারান্দা থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের জলরাশি উপভোগ করা যায়। ডাইনিং রুমে মিলবে বিভিন্ন দেশের বৈচিত্র্যময় খাবারের সমাহার।

Leave a Reply