বরফে ঢাকা অ্যান্টার্কটিকাই এখন গরমে কাবু
Tweet
উষ্ণায়ন নিয়ে রীতিমত চিন্তিত বিশ্ব নেতারা। যদিও অনেকেই বিষয়টা গুরুত্ব দিচ্ছেন না, তবে উষ্ণায়ন যে একটা ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়েছে, তা স্পষ্ট। সম্প্রতি অ্যান্টার্কটিকায় পারদ যেখানে পৌঁছেছে, তা কপালে ভাঁজ ফেলছে আবহাওয়াবিদদের।
গত বৃহস্পতিবার সেখানে তাপমাত্রার পারদ ছিল ৬৪.৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। হিমশীতল দক্ষিণ মেরু এখন উষ্ণতম। এটাই সর্বোচ্চ উষ্ণতা বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। ভেঙে যাচ্ছে রীতিমত কঠিন হিমবাহ। গলে পানি হয়ে যাচ্ছে বরফ।
হিমশীতল বরফে ঢাকা অ্যান্টার্কটিকাই এখন গরমে কাবু। অ্যান্টার্কটিকায় উষ্ণতম মাস ধরা হয় জানুয়ারিকে। তাও তাপমাত্রার পারদ এতটা চড়ে না। যেভাবে জলবায়ু বদলাচ্ছে, উষ্ণায়ন বাড়ছে, মেরু প্রদেশের হিমবাহ দ্রুত হারে গলছে, তাতে বিপর্যয়ের আর বেশি দেরি নেই।
উষ্ণতম অ্যান্টার্কটিকা দেখা গিয়েছিল সেই ১৯৬১ সালে। তারপর ২০১৫-তে ফের উষ্ণতা বাড়ে। ২৪ মার্চ তাপমাত্রার পারদ ছাড়ায় ১৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিশ্বের ১৯৩টি সদস্য দেশের সংগঠন ‘ওয়ার্লড মেটিওরোলজিক্যাল অর্গানাইজেশন (WMO)’-এর মুখপাত্র ক্লেয়ার নুলিস বলছেন, অ্যান্টার্কটিকায় ১৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সত্যিই চিন্তার। জলবায়ু বদলের ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়তে শুরু করে দিয়েছে দক্ষিণ মেরুতে।
আগে বছরে যে পরিমাণে বরফ গলতো অ্যান্টার্কটিকায়, ১৯৭৯ থেকে ২০১৭, এই ৩৯ বছরে তা ৬ গুণ বেড়েছে।
জাতিসংঘের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়ন যে হারে বাড়ছে তাতে আর ৮০ বছরের মধ্যেই মেরু প্রদেশের এক-তৃতীয়াংশ বরফ পুরোপুরি গলে যাবে।