রকি আইল্যাণ্ড ছোট্ট পাহাড়ী সুন্দর গ্রাম
Tweet
কামিল শিবলী
ভারতে আগ্রার তাজ মহল, দিল্লির কুতুব মিনা , কাশমীরের নয়নাভিরাম দৃশ্য আর হিমালয় পর্বত শৃঙ্গ কত কিছুই না দেখা হয়েছে পর্যটকদের।
তবে দেশটির ভুটান সীমান্তে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ির সামসিং থেকে দুই কিলোমিটার দূরে মুর্তি নদীর তীরে ছোট্ট সুন্দর পাহাড়ী এ গ্রামটি দেখার মজাই আলাদা। এলাকাবাসি এর নাম রেখেছে, রকি আইল্যাণ্ড। এর অর্থ হচ্ছে পাথুরে দ্বীপ। এটি এমনই এক জনপদ যেখানে চা ও কমলালেবু চাষ করাই এখানকার মানুষের প্রধান জীবিকা। সাধারনত দ্বীপ তো সমুদ্রের ধারে হয়ে থাকে। কিন্তু এ দ্বীপটি তার বৈশিষ্টের কারণে অন্য সব দ্বীপ থেকে আলাদা।মুর্তি নদী যেখান থেকে আছড়ে পড়েছে যেখানে ঠিক তার পারে গড়ে উঠেছে এই ছোট্ট গ্রাম। এখানে বেশ কয়েকটা থাকার মতো হোটেল-মোটেল আছে। বড় বড় পাথর গুলোর আছেড়ে পড়া জল আর নদীর মাঝে গতি নিয়ে দুরুন্ত বেগে আবার হারিয়ে যাচ্ছে কোন অচিন দেশে।
দেখা যাবে কুয়াশা আর বৃষ্টির রঙ্গিন খেলা। কখনো কুয়াশার চাদরে ভীজে গেছে শরীর। পরে মুহুর্তে বৃষ্টি এসে আলিঙ্গন করছে আপনাকে। শাল, শিমুলের বিশাল বৃক্ষরাজির দখলে থাকা সামসিং-এ প্রচুর কমলালেবু গাছ আর নানা পাখির দেখা মেলে।
এখানে দেখতে যাবেন কীভাবে-ভারতের শিলিগুড়ি মিত্তাল বাসস্ট্যান্ড থেকে সামসিং যাওয়ার জন্য বাস ছাড়ে। তবে সারাদিনে মাত্র দুটি বাস যায়। এখান থেকে টিকিট কেঠে বাসে উঠে সরাসরি সামসিংয়ের আকর্ষনীয় চারদিক দেখতে দেখতে কখন যে প্রায় ২,৫০০ ফুট উচ্চতায় রকি আইল্যাণ্ড পৌছে যাবেন টেরই পাবেন না।
মূল আকর্ষণ- এ জাগার মূল আকর্ষণ হলো চঞ্চল মূর্তি নদী, বড় পাথরের মধ্যে দিয়ে শোরগোল করা প্রবাহিত স্বচ্ছ জল। পাশেই বনাঞ্চলের দুর্দান্ত দৃশ্য। অসংখ বড় বড় পাথর আর বেজায় বড় বোল্ডার তার পাশ দিয়ে নেমে গেছে মূর্তি নদী। এক সফরে চা-বাগান, কমলালেবু আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সান্তালেখোলা এবং পাথুরে রকি আইল্যান্ড। নিউ মাল থেকে মেটেলি আসার রাস্তায় শুধুই সবুজের ঢেউখেলানো চা-বাগান।
কোথায় থাকা যাবে- থাকার জন্য ছোট ছোট কটেজ আছে। যার ভাড়া প্রতিদিন জনপ্রতি নয়শ থেকে বারোশ ভারতীয় রুপি।
কোন সময় এখানে সফর ভাল- সাধারনত ফেব্রয়ারী থেকে এপ্রিল মাস এখানে সফরের জন্য উপযুক্ত সময়।