করোনাভাইরাসে নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা জারি, আক্রান্ত ৮৯
Tweet
আমেরিকাসহ ১০২টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করেছে সরকার।
নিউইয়র্ক ডেইলি নিউজ-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমো এক সংবাদ সম্মেলনে অঙ্গরাজ্যে এই জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতি সামাল দিতে এই জরুরি অবস্থা জারি করা হলো। নিউইয়র্কে করোনার পরিস্থিতির তথ্যও তুলে ধরা হয় এদিন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নিউইয়র্কে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এখন পর্যন্ত নিউইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৯ জন। এর মধ্যে ৬০ জনই নিউ রচেলের বাসিন্দা।
অ্যান্ড্রু কুমো বলেন, একদিনে নিউইয়র্কে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৪ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ জনে। তাঁদের মধ্যে একজন কুইন্সের ট্যাক্সিচালক ও দুজন মিসরের ক্রুজ শিপ থেকে আসা।
এ ছাড়া ওয়েস্টচেস্টার কাউন্টিতে ৭০ জন ও প্রতিবেশী রকল্যান্ড কাউন্টিতে দুজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁরা সবাই নিউ রচেল এলাকার; বয়স পঞ্চাশের বেশি। ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রথমে অসুস্থ একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর তাঁর শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। পরে দ্রুত ওই ব্যক্তির পরিবার, বন্ধু ও আশপাশের অনেক মানুষ এতে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাঁদের সবার চিকিৎসা চলছে।
গভর্নর বলেন, করোনাভাইরাস সামাল দিতে নিউইয়র্কে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগগুলোকে সহযোগিতা করতে হবে। স্বাস্থ্য সেবাদানকারী কর্মীদের জন্য প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জাম কেনা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণার পাশাপাশি কুমো নিউইয়র্কের বেশ কিছু স্কুল বন্ধেরও ঘোষণা দিয়েছেন। ১৪ মার্চ পর্যন্ত স্কুলগুলো বন্ধ থাকবে। স্কুলগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রঙ্কসে সালান্টার আকিবা রিভারডেল স্কুল, ওয়েস্টচেস্টার ডে স্কুল ও ওয়েস্টচেস্টার তোরাহ একাডেমি। এ ছাড়া বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিং হোমে বাইরে থেকে আসা অতিথিদের প্রবেশাধিকারেও সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।