পর্যটন শিল্প বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি
Tweet
সারাবিশ্ব এখন করোনা ভারাস আতঙ্কে মধ্যে আছে। বাংলাদেশেও করোনা হানা দিয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাময়িকভাবে কিছু দিনের জন্য আকাশ পথ, নৌ পথ, স্থল পথ সব কিছু বন্ধু ঘোষণা করেছে সরকার। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দেশের সকল পর্যটন কেন্দ্রও। এই বন্ধ ঘোষণার সময় আবার বাড়ানো হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে স্থবির হয়ে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শ্লথ হয়ে গেছে অর্থনীতি। অন্যান্য শিল্পের মতো পর্যটন শিল্পও হুমকির মুখে। আর এসব কথা বিবেচনা করে পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্ট এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খোলা দিয়েছে। তিনি ওই চিঠিতে পর্যটন শিল্পে বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা চেয়ে আবেদন করেছে।
বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম গোটা বিশ্ব আজ একসাথে কোন সমাস্যার সম্মুখীন
হয়েছে। এই সমস্যার নাম করোনা ভাইরাস। একটি মাত্র অদৃশ্য ভাইরাস স্তম্ভিত
করে দিয়েছে সমগ্র মানব জাতীকে। স্থবির হয়ে গেছে মানুষের স্বাভাবিক
জীবনযাত্রা। প্রতিটি দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা জনগণকে নিয়ে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ মোকাবেলায় উদ্বিগ্ন। মহা পরাক্রমশালী দেশগুলোও হিমসিম খেয়ে যাচ্ছে এই সমস্যা মোকাবেলায়। দিন দিন দীর্ঘ্য হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।
চিঠির খেক জানান, এই মহা দূর্যোগের দিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সংকট মোকাবেলার জন্য যে অসীম ধৈর্য, সাহস ও দৃঢ়তার সাথে সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। জাতির উদ্দেশে তার ভাষণে শুনিয়েছে – আশার বাণী , দিয়েছেন দিকনির্দেশনা ও আমাদের করণীয় । ঘোষণা করেছেন দুর্যোগ
মোকাবেলায় সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীদের জন্য সুবিধা প্যাকেজ। পোষাক শিল্পের
শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়েছে।
কিন্তু করোনা যুদ্ধ প্রথম যেই ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আঘাত হেনেছে তাহলো
পর্যটন। সারা বিশ্বে প্রথমত বন্ধ করা হয়েছে- এয়ারলাইন্স, তার প্রভাবে
বন্ধ হয়ে পড়েছে হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজলাইন, রেস্টুরেন্ট ও ক্ষুদ্র
ব্যবসায়ী ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্সি। বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পর্যটন শিল্প।
The World Travel and Tourism Council ধারণা করছে বিশ্বব্যাপী করোনা
ভাইরাস ছড়িয়ে পরায় ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্পে বিশ্বব্যাপী ৫ কোটি লোক তাদের
চাকরী হারাবে। এশিয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শেষ হয়ে গেলেও, শিল্পটি পুনরুদ্ধারে ১০ মাস পর্যন্ত
সময় নিতে পারে। দ্যা ওয়াল্ড টুরিজম ফোরাম ইনিস্টিটিউটের প্রধান বুলেট বাগসি বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বব্যাপী পর্যটন শিল্প ১ ট্রিলিয়ন
ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন জিডিপিতে পর্যটনের অবদান
১০%। বিশ্বব্যাপী পর্যটন বাজার বছরে গড়ে ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলার আয় করে এবং
ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষতি $৬০০ মিলিয়ন ডলারে
পৌঁছেছে যা বছর শেষ হতে হতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌছাবে বলে ধারণা করা
হচ্ছে। বাংলাদেশও এই ক্ষতির বাইরে নয়। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রথমেই
বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিমান চলাচল ও দেশের সকল পর্যটন কেন্দ্র। শুধুমাত্র
রিসোর্ট মালিকগনেরই এই শিল্পে বিনিয়োগ প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা। এছাড়াও
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ও পর্যটন নির্ভর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিনিয়োগের
যোগফল হবে আরো বেশী। শুধুমাত্র রিসোর্ট সমূহেই প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ লোক
প্রত্যক্ষভাবে কর্মরত এছাড়াও পর্যটন শিল্পের অন্যান্য শাখায় প্রত্যক্ষ ও
পরক্ষভাবে কর্মরত প্রায় ৪০ লক্ষ লোক। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবন জীবিকা আজ
হুমকির মুখে।
অন্যান্য শিল্প দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পরপরই উৎপাদন শুরু করতে অথবা
গতিশীলতায় আসতে পারলেও তেমনটির সম্ভাবনা নেই পর্যটন শিল্পে। পুনরায়
পর্যটন শিল্পের গতি ফিরতে সময় লাগবে বছরখানেকেরও বেশী। এখনই পরিকল্পনা না
করলে, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এই আপদকালীন সময় সরকারি প্রণোদনা না পেলে, বন্ধ
হবে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চাকরি হারাবে অনেক কর্মচারী। দেশে বেকারত্ব
বাড়বে।
এই খাতটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি
প্রয়োজন এবং এ খাতে প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা করা জরুরী বলে মনে করছে
বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোর এসোসিয়েশন (বিটিইএ)। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ, প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে প্রণোদনা বরাদ্দ
দিয়ে এ সেক্টরের শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতনভাতাদি প্রদান করে এ
খাতকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করবেন।। ট্যুর অপারেটরদের তিন মাসের অফিস ভাড়া ও কর্মচারীর বেতনের ব্যবস্থা করা।
। পর্যটন স্পট নির্ভর প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান।
। পর্যটন শিল্পে যেসব লোন আছে ছয় মাসের কিস্তি মওকুফ।। স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে নতুন লোন প্রদান করা। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে অনলাইন ট্যুর অপারেটরদের বিনা সুদে লোন প্রদান ও প্রশিক্ষণের সুবিধা প্রাদান।৬। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইভেন্ট ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং করানো।
সারাবিশ্ব এখন করোনা ভারাস আতঙ্কে মধ্যে আছে। বাংলাদেশেও করোনা হানা দিয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সাময়িকভাবে কিছু দিনের জন্য আকাশ পথ, নৌ পথ, স্থল পথ সব কিছু বন্ধু ঘোষণা করেছে সরকার। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দেশের সকল পর্যটন কেন্দ্রও। এই বন্ধ ঘোষণার সময় আবার বাড়ানো হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে স্থবির হয়ে গেছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। শ্লথ হয়ে গেছে অর্থনীতি। অন্যান্য শিল্পের মতো পর্যটন শিল্পও হুমকির মুখে। আর এসব কথা বিবেচনা করে পর্যটন শিল্প
সংশ্লিষ্ট এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে খোলা দিয়েছে। তিনি ওই চিঠিতে পর্যটন শিল্পে বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা চেয়ে আবেদন করেছে।
বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম গোটা বিশ্ব আজ একসাথে কোন সমাস্যার সম্মুখীন
হয়েছে। এই সমস্যার নাম করোনা ভাইরাস। একটি মাত্র অদৃশ্য ভাইরাস স্তম্ভিত
করে দিয়েছে সমগ্র মানব জাতীকে। স্থবির হয়ে গেছে মানুষের স্বাভাবিক
জীবনযাত্রা। প্রতিটি দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা জনগণকে নিয়ে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ মোকাবেলায় উদ্বিগ্ন। মহা পরাক্রমশালী দেশগুলোও হিমসিম খেয়ে যাচ্ছে এই সমস্যা মোকাবেলায়। দিন দিন
দীর্ঘ্য হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।
চিঠির লেখক জানান, এই মহা দূর্যোগের দিনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সংকট মোকাবেলার জন্য যে অসীম ধৈর্য, সাহস ও দৃঢ়তার সাথে সমন্বিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। জাতির উদ্দেশে তার ভাষণে শুনিয়েছে – আশার বাণী , দিয়েছেন দিকনির্দেশনা ও আমাদের করণীয় । ঘোষণা করেছেন দুর্যোগ
মোকাবেলায় সাধারণ জনগণ ও ব্যবসায়ীদের জন্য সুবিধা প্যাকেজ। পোষাক শিল্পের
শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে ৫ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ ঘোষণা করা হয়েছে।
কিন্তু করোনা যুদ্ধ প্রথম যেই ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আঘাত হেনেছে তাহলো পর্যটন। সারা বিশ্বে প্রথমত বন্ধ করা হয়েছে- এয়ারলাইন্স, তার প্রভাবে বন্ধ হয়ে পড়েছে হোটেল, রিসোর্ট, ক্রুজলাইন, রেস্টুরেন্ট ও ক্ষুদ্র
ব্যবসায়ী ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্সি। বিশ্বব্যাপী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পর্যটন শিল্প।
ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল এণ্ড টুরিজম কাউনসিল ধারণা করছে বিশ্বব্যাপী করোনা
ভাইরাস ছড়িয়ে পরায় ভ্রমণ ও পর্যটন শিল্পে বিশ্বব্যাপী ৫ কোটি লোক তাদের
চাকরী হারাবে। এশিয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শেষ হয়ে গেলেও, শিল্পটি পুনরুদ্ধারে ১০ মাস পর্যন্ত
সময় নিতে পারে। দ্যা ওয়াল্ড টুরিজম ফোরাম ইনিস্টিটিউটের প্রধান বুলেট বাগসি বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্বব্যাপী পর্যটন শিল্প ১ ট্রিলিয়ন
ডলারের ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন জিডিপিতে পর্যটনের অবদান
১০%। বিশ্বব্যাপী পর্যটন বাজার বছরে গড়ে ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলার আয় করে এবং
ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষতি $৬০০ মিলিয়ন ডলারে
পৌঁছেছে যা বছর শেষ হতে হতে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌছাবে বলে ধারণা করা
হচ্ছে। বাংলাদেশও এই ক্ষতির বাইরে নয়। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রথমেই
বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিমান চলাচল ও দেশের সকল পর্যটন কেন্দ্র। শুধুমাত্র
রিসোর্ট মালিকগনেরই এই শিল্পে বিনিয়োগ প্রায় ২৫০০ কোটি টাকা। এছাড়াও
ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী ও পর্যটন নির্ভর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বিনিয়োগের
যোগফল হবে আরো বেশী। শুধুমাত্র রিসোর্ট সমূহেই প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ লোক
প্রত্যক্ষভাবে কর্মরত এছাড়াও পর্যটন শিল্পের অন্যান্য শাখায় প্রত্যক্ষ ও
পরক্ষভাবে কর্মরত প্রায় ৪০ লক্ষ লোক। এই বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবন জীবিকা আজ
হুমকির মুখে।
অন্যান্য শিল্প দুর্যোগ কেটে যাওয়ার পরপরই উৎপাদন শুরু করতে অথবা
গতিশীলতায় আসতে পারলেও তেমনটির সম্ভাবনা নেই পর্যটন শিল্পে। পুনরায়
পর্যটন শিল্পের গতি ফিরতে সময় লাগবে বছরখানেকেরও বেশী। এখনই পরিকল্পনা না
করলে, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী এই আপদকালীন সময় সরকারি প্রণোদনা না পেলে, বন্ধ
হবে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চাকরি হারাবে অনেক কর্মচারী। দেশে বেকারত্ব
বাড়বে।
এই খাতটিকে টিকিয়ে রাখতে হলে এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি
প্রয়োজন এবং এ খাতে প্রণোদনা দেয়ার ব্যবস্থা করা জরুরী বলে মনে করছে
বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোর এসোসিয়েশন (বিটিইএ)। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর
কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ, প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে প্রণোদনা বরাদ্দ
দিয়ে এ সেক্টরের শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের বেতনভাতাদি প্রদান করে এ
খাতকে টিকিয়ে রাখতে সহায়তা করবেন।। ট্যুর অপারেটরদের তিন মাসের অফিস ভাড়া ও কর্মচারীর বেতনের ব্যবস্থা করা।
। পর্যটন স্পট নির্ভর প্রান্তিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এককালীন আর্থিক সহায়তা প্রদান।
। পর্যটন শিল্পে যেসব লোন আছে ছয় মাসের কিস্তি মওকুফ।। স্বল্প সুদে ও সহজ শর্তে নতুন লোন প্রদান করা। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে অনলাইন ট্যুর অপারেটরদের বিনা সুদে লোন প্রদান ও প্রশিক্ষণের সুবিধা প্রাদান।৬। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ইভেন্ট ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট ট্রেনিং করানো।