বর্ণিল আয়োজনে মুজিববর্ষে বাংলাদেশ
Tweet
বিশ্বজুয়ে ভয়াল রূপ ধারণ করা নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আয়োজনের পরিসর ছিল সীমিত, কিন্তু তাতে রঙের কোনো কমতি ছিল না।
বর্ণময় সেই আয়োজনে আতশবাজির ঝলক রাঙিয়েছিল রাজধানী, আকাশ ঢেকেছিল রঙিন ফানুসে; শুভেচ্ছার বার্তা নিয়ে যুক্ত হয়েছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা; শেখ রেহানা কণ্ঠ মিলিয়েছিলেন বাবাকে নিয়ে গানে; বোনের কবিতায় দিয়েছিলেন কণ্ঠ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
যার হাত ধরে বিশ্ব মানচিত্রে ঘটেছিল বাংলাদেশের অভ্যূদয়, সেই শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বছরব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন মঙ্গলবার হল এমন বর্ণিল আয়োজনে। আর তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার অঙ্গীকারই ঝরল রাষ্ট্রের কর্ণধারদের কণ্ঠে।
১৯২০ সালের ১৭ মার্চ টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম হয়েছিল যে শেখ মুজিবের, কালে তিনিই হয়ে ওঠেন ইতিহাসের মহানায়ক; দেশের মানুষ ভালোবেসে যাকে দিয়েছে বঙ্গবন্ধু উপাধি, স্বাধীন দেশের সংবিধান শ্রদ্ধাভরে যাকে দিয়েছে জাতির পিতার স্বীকৃতি।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী সাড়ম্বরে পালনের প্রস্তুতি ছিল, এজন্য এই ১৭ মার্চ থেকে আগামী বছরের ১৭ মার্চ পর্যন্ত সময়কালকে ঘোষণা করা হয় মুজিববর্ষ; গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে শুরু হয়েছিল উদ্বোধন অনুষ্ঠানের ক্ষণগণনা।
কিন্তু হঠাৎ করে চীন থেকে বিশ্ব ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ সব ওলট-পালট করে দেয়; কভিড-১৯ রোগ বিশ্বে মহামারীর রূপ নেওয়া এবং বাংলাদেশেও কয়েকজন রোগী ধরা পড়ায় মুজিববর্ষের উদ্বোধন অনুষ্ঠান কাটছাঁট হয়।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাই সেই নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, জনগণের স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবেলার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
সেই নির্দেশনা মেনে ছোঁয়াচে রোগ কভিড-১৮ সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে জনসমাগম না ঘটিয়ে সাজানো হয় উদ্বোধনী আয়োজন, যার শিরোনাম ছিল ‘মুক্তির মহানায়ক’। এতে আগে ধারণ করা মূল অনুষ্ঠানটি দেখানো হয় টেলিভিশনে, অনুষ্ঠানমালার মধ্যে বাইরে থাকে শুধু শুরুর আতশবাজি প্রদর্শনী এবং শেষের লেজার শো।