আরও পাঁচ ফ্লাইট ফিরবে যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা
Tweet
করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বাংলাদেশে থাকা নাগরিকদের ফেরাতে নতুন করে আরও পাঁচটি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে ব্রিটিশ সরকার।
২৯ এপ্রিল থেকে ক্রমান্বয়ে এসব চার্টার্ড ফ্লাইট বাংলাদেশ থেকে নাগরিকদের নিয়ে ছেড়ে যাবে বলে রোববার এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন ঢাকায় ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন।
নতুন পাঁচ ফ্লাইটের প্রথমটি ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাবে ২৯ এপ্রিল। এরপর ১, ৩, ৫ এবং ৭ মে যাবে বাকী চার ফ্লাইট।
এর আগে নাগরিকদের ফেরাতে যে চারটি বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছিল, তার তিনটিতে মোট ৬৩৯ জন ঢাকা ছেড়ে গেছেন। রোববার বিকালে যাবে চতুর্থ ফ্লাইটটি।
এরআগে শনিবার বিকাল ৩টা ৪৭ মিনিটে যুক্তরাজ্যের ১৯৮ জন নাগরিক ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে নিজেদের দেশে রওনা হন বলে হযরত শাহজালাল আন্তন্তাজিক বিমানবন্দরের পরিচালক এএইচএম তৌহিদ উল আহসান জানান।
এ নিয়ে চার দিনে দুই দফায় ১০ শিশুসহ চার শতাধিক ব্রিটিশ নাগরিক বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ছেড়ে গেলেন।
কোভিড-১৯ মহামরীর মধ্যে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিরা বিশেষ ফ্লাইটে তাদের দেশে ফিরছেন। পাশপাশি বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদেরও দেশে ফিরিয়ে আনা শুরু হয়েছে।
গেল সপ্তাহে ১২৩ জন জার্মান নাগরিক হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে নিজেদের দেশে রওনা হন।
তার কয়েক দিন আগে ১৭৮ জন রুশ নাগরিক ঢাকা ছাড়েন। জাপান দূতাবাসের চার্টার করা ফ্লাইটে দেশে ফেরেন দেশটির ৩২৫ জন নাগরিক। আর দুই দফায় ৫৯১ জন মার্কিন নাগরিকও ঢাকা ছেড়েছেন।
এছাড়া সপ্তাহখানেক আগে মালয়েশিয়া থেকে আসা একটি উড়োজাহাজে সে দেশের ২২৫ জন এবং ভুটান সরকারের ব্যবস্থাপনায় একইভাবে তাদের ১৩৯ জন নাগরিক ফিরে যান।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১৬ মার্চ থেকে যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপের অন্যান্য সব দেশ থেকে যাত্রীদের আসা বন্ধ করে বাংলাদেশ।
এরপর ২১ মার্চ থেকে ভারত, সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করা হয়। পরে যুক্তরাজ্যের সঙ্গেও ফ্লাইট বন্ধ করা হয়। বর্তমানে চীন ছাড়া অন্য সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান চলাচল বন্ধ রয়েছে।