এয়ারলাইনস ব্যবসায় ক্ষতি ২৫ হাজার কোটি ডলার
Tweet
করোনা ভাইরাসের কারণে বড় ধরনের সংকটে পড়েছে বিশ্বের অ্যাভিয়েশন খাত। গত ৩ মাসে আকাশপথে যাত্রী পরিবহন কমেছে ৯০ শতাংশেরও বেশি। চলমান পরিস্থিতিতে এয়ারলাইনসগুলোর ক্ষতির পরিমাণ ২৫০ বিলিয়ন বা ২৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ (আইএটিএ)।
এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে এ খাতে। কোনো দেশে নিষেধাজ্ঞার কারণে প্লেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আবার কোনো দেশে যাত্রীসংকটে ফ্লাইট পরিচালনা সাময়িক বন্ধ রেখেছে এয়ারলাইনসগুলো। বিশ্বের প্রধান এয়ারলাইনসগুলো যাওয়া-আসার প্রায় সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে। এ ধাক্কা সামলে ওঠা বেশ কঠিন বলে মনে করেন খাতসংশ্লিষ্টরা। প্রধান এয়ারলাইনসগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য ফ্লাইট স্থগিত করেছে। ফলে এসব সংস্থার আয় অনেক কমে যাওয়ায় প্রচুর লোকসানও গুনতে হচ্ছে। প্লেন চলাচল কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে, তা বলতে পারছেন না কেউ।
আইএটিএ বলছে, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিশ্বব্যাপী ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ায় এয়ারলাইনসগুলোর এ ক্ষতি মুখে পড়েছে। এ-সংকট আরও দীর্ঘায়িত হলে লোকসানের পরিমাণ আরও বাড়বে। বিশ্বের প্রধান যেসব এয়ারলাইনস ফ্লাইট স্থগিত বা হ্রাস করেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আমেরিকান এয়ারলাইনস, ইউনাইটেড এয়ারলাইনস, ডেল্টা, এয়ার কানাডা, এয়ার এশিয়া, নিপ্পন, ক্যাথে প্যাসিফিক, ক্যাথে ড্রাগন, জাপান এয়ারলাইনস, কোরিয়ান এয়ার, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস, সিল্ক এয়ার, কান্তাস, এয়ার নিউজিল্যান্ড, এয়ার ফ্রান্স, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ভার্জিন আটলান্টিক, লুফথানসা, সুইস অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইনস, টার্কিশ এয়ারলাইনস, ইতিহাদ, এমিরাটস ও কাতার এয়ারওয়েজ।